ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পেটের মেদ কমাতে যা করবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক
🕐 ১২:২১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০

পেটের মেদ নিয়ে অস্বস্তি বোধ করেন সবাই। পেটে মেদ বা চর্বি হলে চলাফেরা করতে কষ্ট হয়। সেই সঙ্গে কোনো ভালো পোশাক পড়লেও ভালো লাগে না। তাই মেদ কামানেরা সহজ উপায় খুঁজেন। শরীরের এ বাড়িত মেদ কিভাবে দূর করা যায় আমরা অনেকেই জানি না। তাই আসুন জেনে নেই মেদ কমাতে কি করবেন।

হিট এক্সেসাইজ:

ব্যায়ামটি করতে হয় সকাল বেলা। সবচেয়ে ভালো সময় সকাল ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে। যখন ন্যাচারালই শরীরে স্টোরেজটা বেশি থাকে। ফিট এক্সেসাইজ করার সময় শরীরে স্টোরেজ রিলিজ হয়। আর এই স্টোরেজ যে শরীরের জন্য খারাপ তা নয়, এটা শরীরের জন্য ভালো। এই স্টোরেজ কী পরিমাণ রিলিজ হচ্ছে? কতক্ষণ রিলিজ হচ্ছে? কী পরিমাণ শরীরে থাকছে সেটা জানা জরুরি। যেহেতু ন্যাচারালই সকালে শরীরে স্টোরেজ বেশি থাকে তাই ব্যায়ামটা সকালে করলে বেশি সুবিধা পাওয়া যাবে। হিট এক্সেসাইজ করলে অনেকগুলো সুবিধা আছে। একটি হলো- যেটি মাসেলকে পির্জাভ করে কিন্তু ফ্যাট বান করে।

শরীরে খুবই দরকারি গ্রোর্থ হরমোন। যেটা শিশুদের প্রচুর থাকে, যার কারণে শিশুরা ক্লান্ত হয় না। তারা প্রচুর দুষ্টুমি করে কিন্তু ক্লান্ত হয় না। আর বয়সের সঙ্গে সঙ্গে এটা আস্তে আস্তে কমে যায়। এই কারণে এটাকে যদি আমরা বুস্টআপ করি তাহলে এটা আমাদের চর্বি গলাতে সহায়তা করে। তবে মাসেলটাকে পির্জাভ করে।

হিট এক্সেসাইজ করলে কোয়ালিটি স্লিপটা অনেক ভালো হয়। খালি পেটে ঘুমাতে যান। মানে ৭টা ৮টার মধ্যে ঘুমাতে যান। এরপর সকালে যখন খালি পেটে হিট এক্সেসাইজ করতে যান তাহলে শরীরে ইনসুলিনের মাত্রাটা কম থাকবে। আর শরীরে ইনসুলিন কম থাকলে ফ্যাট কমাতে ভালো হয়। তখন ইনসুলিনের সাহায্য ছাড়াই গ্লোকোজটা রক্ত থেকে সরাসরি কোষে ঢুকতে পারে। তবে লিভারের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ভিন্ন।

কিভাবে করবেন?

প্রথমে ওয়ার্মআপ এক্সেসাইজ করুন। কারণ এটি অনেক হাই ইনটেনসিটিতে করতে হয়। এটি রার্নিং মেশিনে এবং সাইকেলে করতে পারেন। অথবা দৌড়ানো যেতে পারে। তবে দৌড়ানোর আগে জগিং করে নিতে হবে। শরীরটাকে ভালো করে ওয়ার্মআপ করে নিতে হবে। এরপর যত জোরে পারেন দৌড় দেবেন। মাত্র ২০ সেকেন্ডে দৌড়ানোর পর ১০ সেকেন্ড রেস্ট নিতে হবে। আবার ২০ সেকেন্ডে দৌড় দেয়ার পর ১০ সেকেন্ড রেস্ট নিতে হবে। এভাবে ৩ থেকে ৫ মিনিট ব্যয়াম করতে হবে। তবে সময় কম বেশি হতে পারে। এভাবে শরীরে গ্রোর্থ হরমোন বেড়ে যাবে। কিন্তু এই গ্রোর্থ হরমোন শরীরে ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় থাকে না।

পেটের চর্বি, প্রেসার, রক্তনালীর চর্বি এবং ডায়াবেটিক একইভাবে কমানো সম্ভব।

 
Electronic Paper