ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

শাড়িতে নতুন ট্রেন্ড

হালরং ডেস্ক
🕐 ১:০৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ০৮, ২০১৯

শাড়ি এক আলাদা অনুভূতি নারীর জন্য। শাড়ির ভাঁজে ভাঁজে তারা খুঁজে দেখেন সৌন্দর্য। শাড়ির বারো হাতে তারা মিলিয়ে নেন নিখুঁত সৌন্দর্য। শাড়ি নিয়ে ভাবেন না এমন বাঙালি মেয়ে খুব একটা খুঁজে পাওয়া যাবে না। বর্তমানে আধুনিক ফ্যাশনের একটা বড় অংশজুড়ে রয়েছে শাড়ি। তাই শাড়িতে এসেছে নতুন টেন্ড।

যে কোনো উৎসব আয়োজন কিংবা নিছক কোনো সামাজিক পার্টিতে নারী নিজেকে একটু আলাদা লুক দেখাতে যেটি প্রথম পছন্দ করেন সেটি হলো শাড়ি। আর এসব উপলক্ষকে সামনে রেখে হালের শাড়িতে রং এবং নকশায় যোগ হয়েছে বৈচিত্র্য। তবে এ বছর শাড়িতে প্রাধান্য পেয়েছে নকশিকাঁথার স্টিচ ওয়ার্ক। পাশাপাশি এখন যেহেতু বৃষ্টি এবং গরমের সিজন চলছে, তাই অ্যান্ডি, সিল্ক, হাফসিল্ক শাড়ির প্রতিই থাকছে সবার নজর।

প্রকৃতির সঙ্গে মিল রেখে শাড়িতে হালকা ও উজ্জ্বল রঙের ব্যবহার দেখা গেল। নীল, বেগুনি, মেজেন্টা, ফিরোজা, পেস্ট, সাদা, গোলাপি, সবুজ শাড়িতে এ ধরনের রং প্রাধান্য বেশি। কটন, হাফসিল্ক, কটন সিল্ক শাড়িগুলোয় ব্লকপ্রিন্ট ও এমব্রয়ডারি প্রাধান্য পেয়েছে।

এখন বাজারে লিনেন কটন শাড়ির চাহিদা বাড়ছে, সেগুলোর বুনন ও ডিজাইন অন্যগুলো থেকে যেমন আলাদা, তেমনি নতুনত্বও থাকছে। এমব্রয়ডারির সঙ্গে স্টিচ ওয়ার্ক, সুঁই-সুতার কাজ করা হয়েছে। ডিজাইন শাড়ির পাশাপাশি তাঁতিদের নিজস্ব ডিজাইনের টাঙ্গাইল শাড়ি, জামদানি ও কাতান শাড়ি বেশ জনপ্রিয়।

কেমন চলছে এই সময়ের শাড়ির টেন্ড দেশের ফ্যাশন হাউসগুলোতে, জানতে ঘুরে দেখা হয়েছে শহুরে বাজারের অলিগলি এবং শপিং মলের দোকান। এবার বর্ষায় দেশীয় ফ্যাশন বাজারে নানা রকম নজরকাড়া মন মাতানো নকশা এবং ফেব্রিক্সের শাড়ি চোখে পড়ল। নকশাতে এবারে যে বিষয়টি কিছুটা ভিন্নতা নিয়ে এসেছে তা হচ্ছে শাড়ির পাড়ের প্রস্থ।

বর্তমানে শাড়িতে পাড়ের প্রস্থ বেড়েছে বেশ খানিকটা। চিকন পাড়ের আবেদন চিরন্তন, তবে নতুনত্ব নিয়ে এসেছে ভারী পাড়ের নকশা। এক লাইন নকশা করা পাড় নয়, বর্তমানে ক্রেতার পছন্দের তালিকাতে আছে বেশ কয়েকটি লাইনে নকশা করা পাড়ের কাজ। পুরো শাড়িতে কাজের পাশাপাশি হালে পাড়ের অংশে ভারী কাজের দিকে নজর রাখছেন ক্রেতারা। এ বিষয়ে রং বাংলাদেশের মিডিয়া ম্যানেজার তৌসিক আহমেদ জানান, প্রতিবছর শাড়িতে কিছু না কিছু পরিবর্তন আসে। আবার ঋতুভেদেও বিভিন্ন ধরনের শাড়ির ব্যবহার লক্ষ করা যায়। বর্তমানে পাড়ের নকশাতে দেখা যাচ্ছে ভিন্নতা। বিভিন্ন মোটিফ ব্যবহার করে করা হয়েছে পাড়ের নকশা। সব থেকে বেশি ব্যবহার করা হয়েছে ফুল, কলি এবং জ্যামিতিক মোটিফ। এ ছাড়া প্রাকৃতিক কিছু মোটিফ বর্তমানে দেখা যাচ্ছে শাড়ির পাড়ে।

শাড়ির কাপড়ে সুতি, কোটা, সিল্ক, অ্যান্ডি সিল্ক, কাতান, মসলিন, জামদানি, তাঁতের বোনা শাড়ি- এই ধরনগুলো শাড়িতে ঝোঁক দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে বাজারে ঘুরলে চোখে পড়বে চেক শাড়ির আয়োজনও। রংবেরং চেকের শাড়ি এখন রয়েছে পছন্দের তালিকার ওপরের দিকে। এ ছাড়া রয়েছে গামছা শাড়ি। গেল কয়েক বছরে শাড়িতে কুঁচি প্রিন্ট ছিল বেশ আলোচনায়। কুঁচি প্রিন্ট শাড়ির চল কিছুটা ভাটার টানে রয়েছে এবার। অলঙ্করণের ক্ষেত্রে এবারে ছাপচিত্র, স্ক্রিনপ্রিন্ট, বন্ধনরঞ্জন, এপ্লিক, সিকোয়েন্স, এমব্রয়ডারি ব্যবহৃত হয়েছে।

বর্তমানে শাড়িতে পাড়ের প্রস্থ বেড়েছে বেশ খানিকটা। চিকন পাড়ের আবেদন চিরন্তন, তবে নতুনত্ব নিয়ে এসেছে ভারী পাড়ের নকশা। এক লাইন নকশা করা পাড় নয়, এবারে ক্রেতার পছন্দের তালিকাতে আছে বেশ কয়েকটি লাইনে নকশা করা পাড়ের কাজ। পুরো শাড়িতে কাজের পাশাপাশি এবারে পাড়ের অংশে ভারী কাজের দিকে নজর থাকবে ক্রেতাদের। শাড়ির আঁচলে দেখা যাচ্ছে ভিন্নতা হালের ফ্যাশনে। পুরো শাড়িতে জমকালো নকশা যেমন আছে বাজারে, তেমনি আছে জমিনজুড়ে হালকা কিন্তু আঁচলে ভারী কাজের বাহার। এ বিষয়ে কথা হয় ফ্যাশন হাউস কে-ক্র্যাফটের প্রধান খালিদ মাহমুদ খান বলেন, আঁচল নিয়ে নিরীক্ষা করার ব্যাপারটি সব সময়েই রয়েছে ফ্যাশনে।

শাড়ির এ অংশটি যেমন পড়ে নেওয়া যায় বিভিন্ন ঢঙে, তেমনি আবার এই আঁচলের অংশটিতেই ফুটিয়ে তোলা যায় নানান রকম নকশা অনায়াসেই। তাই নকশাকাররা এই অংশ নিয়ে করেন সব থেকে বেশি নিরীক্ষা। এবারের ফ্যাশনেও দেখা যাচ্ছে এই প্রভাব।’ আঁচলজুড়ে করে তোলা হচ্ছে বিশাল ময়ূরের নকশা, কখনোবা ফুল কিংবা পাখির অলঙ্করণ চোখে পড়ছে। শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজ, এই দুয়ের মেলবন্ধনেই তৈরি হয় সৌন্দর্যের পরিপূর্ণতা। এক সময় মেয়েরা শাড়ির সঙ্গে এক রঙা গোল গলার ব্লাউজ পরে নিত কোনো ভাবনা ছাড়াই। এখন অনেকটাই বদলে গেছে মেয়েদের ফ্যাশন অনুভূতি। তারা ভিন্নতা নিয়ে আসতে চাইছেন ব্লাউজেও। আগে দর্জি বাড়ি ঘুরে বানিয়ে নেওয়ার চল ছিল ব্লাউজের।

 
Electronic Paper