ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ক্রিকেট জ্বরে দারুণ্য

হালরং ডেস্ক
🕐 ১১:৪৬ পূর্বাহ্ণ, জুন ২৪, ২০১৯

আমাদের দেশের জন্য এ বিশ্বকাপের আবেদনটাই আলাদা। একমাত্র ক্রিকেটই আমাদের এনে দিয়েছে খেলার আসরের বৈশ্বিক সফলতা। খেলা যতই এগিয়ে যাচ্ছে ততই উত্তেজনা উদ্দীপনা টান টান হচ্ছে। বিশ্বকাপ ক্রিকেট আমেজ শুধু মাঠেই আটকে নেই, সুদূর ইংল্যান্ড ছাপিয়ে তা ছড়িয়ে পড়েছে ঢাকার মার্কেটগুলোতেও। ফুটপাত থেকে শুরু করে ছোট-বড় সব বিপণিবিতান ছেয়ে গেছে প্রিয় দলের জার্সিতে। সঙ্গে রয়েছে পতাকা ও হাতের ব্যান্ডসহ বাহারি সব পণ্য। ক্রেতাদের সরব উপস্থিতিতে জমে উঠেছে বেচাকেনা। প্রায় সব জায়গায় ভিড় ঠেলে শখের পণ্য কেনাকাটা করছেন নানান বয়সের ক্রিকেটপ্রেমীরা। নিজ নিজ দলকে এগিয়ে নিতে উৎসাহ-উদ্দীপনার যেন শেষ নেই।

ঘরে-বাইরে চলছে কোন দল সেরা এই নিয়ে তর্কযুদ্ধ। তরুণদের আগ্রহটা যেন একটু বেশিই। কি ক্যাম্পাস, বন্ধুদের আড্ডা বা চায়ের দোকান সবখানেই চলছে বিশ্বকাপ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা। এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই ফ্যাশন জগতও। জার্সি, টি-শার্ট, গেঞ্জিতে ছেয়ে গেছে ফুটপাথ থেকে শুরু করে নামি-দামি ফ্যাশন আউটলেটগুলো। যে যার সামর্থ্যমতো সংগ্রহ করছে নিজ দলের লাল-সবুজের জার্সি। রঙ বাংলাদেশের মিডিয়া ম্যানেজার তৌসিক আহমেদ জানান, অন্যান্য টি-শার্টের তুলনায় ফেবারিট খেলোয়াড়, লোগো অথবা লাল-সবুজ টি-শার্টগুলো এখন বেশি বিক্রি হচ্ছে।

বিভিন্ন বিপণিবিতান ঘুরে জানা যায়, দেশের তারকা খেলোয়াড়দের জার্সিগুলোও বেশ ভালো দামে বিকোচ্ছে। টি-শার্ট একেকটির মূল্য পড়ছে ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা এবং জার্সিগুলো ৩০০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই ক্রিকেট বিশ^কাপের জন্য ফ্যাশন আউটলেটগুলোও বেশ সরগরম। বিভিন্ন নামি ব্র্যান্ড বাংলাদেশের অফিসিয়াল জার্সির অরিজিনালিটি ধরে রাখতে বেশ ভালো মানের জার্সি উঠিয়েছে। অভিজাত শ্রেণির লোকেরাই এর ক্রেতা। সে কারণে জার্সিগুলোও বেশ ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে। এই জার্সি বা টি-শার্টগুলো ফ্যাশনে এনেছে নতুন মাত্রা। ক্রিকেট বিশ্বকাপ আবহ বাড়িয়ে তুলেছে বহুগুণে।

বাংলাদেশ ছাড়াও কে চ্যাম্পিয়ন হবে বা দ্বিতীয় ভালো লাগার দল এই নিয়ে বন্ধুদের মধ্যে চলছে প্রতিযোগিতা। পোশাক যেন এক্ষেত্রে অবিচ্ছেদ্য অংশ। ক্রিকেট উন্মাদনায় রঙিন হয়ে উঠছে পুরো ফ্যাশন জগৎ। আর হাতের নাগালেই এ ধরনের ড্রেস পাওয়া যাচ্ছে বলে ফ্যাশনের এ ধারা যেন আরও গতিশীল হয়ে উঠেছে। সত্যি অভূতপূর্ব এক দৃশ্য। সব জায়গাতে বাংলাদেশের অফিসিয়াল জার্সির ছড়াছড়ি।

দিন যত যাচ্ছে ততই রঙিন হয়ে উঠছে উৎসবের আকাশ। ফ্যাশনকে প্রভাবিত করার জন্য মূলত ক্রিকেট ফ্যাশন নয়, সত্যিকার অর্থে ক্রিকেট বিশ্বকাপ উন্মাদনার প্রভাব কাজ করছে। এটা যদিও সাময়িক তার পরও ফ্যাশনবাজারকে বেশ ভালোভাবেই নাড়া দেয়। অর্থাৎ খুব কম সময়ের জন্য একটা জোয়ার বয়ে যায়। তবে এই জোয়ারে ব্যবসায়ীরা অত্যন্ত লাভবান। কারণ ক্রিকেট বিশ্বকাপ সংবলিত বিভিন্ন লোগো বা ছবির প্রচুর পরিমাণে পোশাক বিক্রি হয়।

তবে এটা দেশীয় ফ্যাশন বা গতানুগতিক ফ্যাশনকে খুব একটা প্রভাবিত করে না। অবশ্য পোশাক-পরিচ্ছদের ভিন্নতা বিশ্বকাপের উত্তাপ আরও দ্বিগুণ করে তোলে। এবরের আসরে প্রথম রাউন্ডে সবার সঙ্গে সবার খেলার নিয়ম হওয়াতে উত্তেজনার ব্যাপ্তিকাল দীর্ঘ হচ্ছে। পাশাপাশি জার্সি কেনার সময়টাও বেড়েছে। অন্যদিকে ফ্যাশন

আউটলেটগুলো বলছে বাংলাদেশের উপস্থিতির জন্য তাদের এক রকম জার্সি বানালেই চলছে। তাই জার্সিতে লোকসানের কোনো সুযোগ নেই। সব মিলিয়ে ক্রিকেট বিশ্বকাপ ঈদ পরবর্তী বাজারটাকে সচল রেখেছে।

 
Electronic Paper