রাগ নিয়ন্ত্রণ কৌশল
হালরং ডেস্ক
🕐 ৬:০৪ অপরাহ্ণ, জুন ০৩, ২০১৯
আমরা সাধারণত রাগকে খুবই নেতিবাচক হিসেবে দেখি। কিন্তু আনন্দ, দুঃখ, ভয় ইত্যাদির মতো রাগ ও মানুষের একটি খুবই স্বাভাবিক আবেগ। তবে যখন কারও সব সময় রাগ হয়, কিংবা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দৈনন্দিন কাজে অসুবিধার সৃষ্টি করে এবং তা ধ্বংসাত্মক কাজের দিকে নিয়ে যায় তখনই এটি সমস্যা বলে বিবেচিত হয়।
আমরা জানি, অতিরিক্ত রাগ মানুষের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি করে। যেমন, অন্যদের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হয়, কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে, বিচার-বিবেচনা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা লোপ পায়, শরীর এবং মনের ওপর প্রভাব ফেলে ইত্যাদি। সেই কারণে কেউ এই ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হলে কিছু কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে রাগকে নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় রাখা উচিত।
তবে আমাদের মাথায় রাখতে হবে, রাগ নিয়ন্ত্রণ কৌশলগুলোর লক্ষ্য হলো রাগকে একেবারেই অবদমিত করা বা নির্মূল করা নয় বরং এর মাধ্যমে রাগের পেছনের কারণ উদ্ঘাটন করে তা কীভাবে সুস্থ ও সুন্দরভাবে প্রকাশ করা যায় তা শেখানো।
ব্যক্তি বিভিন্ন কারণে রেগে যেতে পারে। সে জন্য আগে বুঝতে হবে কি কারণে রাগ হচ্ছে।
অর্থাৎ রাগের পেছনে কি উপলক্ষ আছে তা আগে বের করতে হবে। যেমন, অনেক সময় আমরা মনের ভাব প্রকাশ করতে না পেরে রেগে যাই। আবার কখনো কষ্ট, বিব্রতকর অনুভূতি, অপরাধ বোধ, লজ্জা, অনিশ্চয়তা ইত্যাদির বহিঃপ্রকাশ হিসেবে রাগ দেখাই। কখনোবা কোনো কিছু চিন্তা করে বা ভেবে রেগে যাই। সে জন্য প্রথমে রাগের উৎস চিহ্নিত করে সেটির সমাধান করা জরুরি।
আমরা ভাবি, রাগ চট করেই চলে আসে। কিন্তু এ কথাটি গ্রহণযোগ্য নয়।
আমরা খেয়াল করলে দেখতে পাব, একদম পুরোপুরি রেগে যাওয়ার আগে থেকেই অন্য আরও বিষয় নিয়ে হয়তো আমরা বিরক্ত ছিলাম। অর্থাৎ ছোট ছোট অনেক ঘটনা জমা হয়ে অনেক বেশি রাগের আকার ধারণ করে যার ফলে আমরা আক্রমণাত্মক হয়ে পড়ি।
সেই কারণে যদি আমরা সেই ছোট ছোট কারণ খুজে বের করি এবং সমাধান করি তাহলে আর সেগুলো জমাট বেঁধে বড় আকার ধারণ করতে পারবে না।
এ ছাড়াও একদম রেগে যাওয়ার আগে আমাদের শরীরে কিছু পরিবর্তন আসে। যেমন, হার্টবিট বেড়ে যায়, শ্বাসপ্রশ্বাস দ্রুত হয়, মাথাব্যথা হয়, চোখ-মুখ লাল হয়, চোয়াল শক্ত হয়ে যায় ইত্যাদি। যখনি এই ধরনের কোনো সংকেত দেখতে পাব তখনি আমরা সচেতন হব। যেসব স্থান, ব্যক্তি কিংবা পরিস্থিতি রাগের জন্ম দেয়। সেগুলো সাময়িকভাবে এড়িয়ে চলা যেতে পারে। পরে শান্ত হয়ে সেটির মুখোমুখি হওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।