ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ২:০৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৩, ২০১৮

রংপুরের মানহানির মামলায় গ্রেফতার সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে সিএমএমের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

এর আগে দুপুর ১টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয় থেকে তাকে আদালতে তোলা হয়। পরে মামলার শুনানি শেষে আগামীকাল আদেশের দিন ধার্য করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

রংপুরের একটি মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে সোমবার রাত পৌনে ১০টায় উত্তরায় জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রবের বাসা থেকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।

সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে অশালীন মন্তব্যের ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় এ পর্যন্ত চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে রংপুরের মামলায় গ্রেফতার হন তিনি।

ড. কামাল হোসেনের উদ্যোগে বিএনপিকে নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে সক্রিয় আছেন ব্যরিস্টার মইনুল। আ স ম রবসহ ফ্রন্টের বিভিন্ন নেতার বাড়িতে বৈঠকে তার নিয়মিত যাতায়াত।

গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টেলিভিশনের একটি আলোচনায় অংশ নেন দৈনিক আমাদের অর্থনীতির জ্যেষ্ঠ নির্বাহী সম্পাদক মাসুদা ভাট্টি এবং বিএনপি নেতা সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্ত।

উপস্থাপক মিথিলা ফারজানা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে যুক্ত করার পর মাসুদা ভাট্টি তার কাছে একটি প্রশ্ন করতে চান এবং জানতে চান- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে আপনাকে শিবিরের একটি জনসভায় অংশ নিতে দেখা গেছে এবং সে কারণেই অনেকেই প্রশ্ন করেছেন যে, আপনি কী জামায়াতের প্রতিনিধি হিসেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে উপস্থিত থাকছেন?

প্রশ্নটি শেষ করার আগেই ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে যান এবং বলেন- আপনার সাহসের প্রশংসা করতে হয়। তবে আমি আপনাকে একজন চরিত্রহীন বলে মনে করতে চাই।

এ ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার পর ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ফোনে ভাট্টির কাছে ক্ষমা চান। তবে এটি যথেষ্ট নয় বলে প্রকাশ্যে তাকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য বলেন মাসুদা ভাট্টিসহ দেশের বিশিষ্টজনরা।

ওই ঘটনার পর মইনুল টেলিফোন করে ক্ষমা চাইলেও মাসুদা ভাট্টি প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান। তা না করায় মইনুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন মাসুদা ভাট্টি। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানেও মানহানির অভিযোগে কয়েকটি মামলা হয় তার বিরুদ্ধে।

এসব মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর মইনুল কয়েকটি মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিলেও রংপুরের মামলাটিতে জামিন ছিল না বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

 
Electronic Paper