ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

জাবালে নূরের মালিকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১:৩৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২২, ২০১৮

বাসচাপায় রাজধানীর শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের মামলায় জাবালে নূর বাসের মালিক ও চালকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত। একই সাথে মামলার চার্জ গঠনের জন্য আগামী ২৫ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. ইমরুল কায়েস এ দিন ধার্য করেন।

এদিন জাবালে নূরের মালিক মো. শাহাদাত হোসেন আকন্দ আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন চাইলেও আদালত তা নামঞ্জুর করেন।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- জাবালে নূরের মালিক মো. শাহাদাত হোসেন আকন্দ (৬০), চালক মাসুম বিল্লাহ (৩০), হেল্পার মো. এনায়েত হোসেন (৩৮), চালক মো. জোবায়ের সুমন (৩৬), বাস মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) ও হেল্পার মো. আসাদ কাজী (৪৫)।

এদিকে আসামি জাহাঙ্গীর আলম ও আসাদ কাজী পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

আসামিদের মধ্যে শাহাদাত হোসেন, মাসুম বিল্লাহ ও জোবায়ের সুমন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

মো. সোহাগ আলী ও মো. রিপন হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

গত ৬ সেপ্টেম্বর ডিবি পুলিশ উত্তর ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের ইন্সপেক্টর কাজী শরীফুল ইসলাম ঢাকা সিএমএম আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন।

দাখিলকৃত চার্জশিটে মোট ৪১ জনকে সাক্ষী এবং বিভিন্ন আলামত জব্দ দেখানো হয়। যার মধ্যে ৩টি বাস এবং ৩টি ড্রাইভিং লাইসেন্স।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই দুপুরে কালশী ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখে এমইএস বাসস্ট্যান্ডে ১৫/২০ জন শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে ছিলেন। জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় মুখেই দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় পেছন থেকে আরেকটি দ্রুতগতিসম্পন্ন জাবালে নূরের বাস ওভারটেক করে সামনে আসতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর উঠে যায়। চাকার নীচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান দুজন। আহত হন ১৫-২০ জন শিক্ষার্থী।

ওই ঘটনায় ২৯ জুলাই দিবাগত রাতে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নিহত মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম মামলা দায়ের করেন।

পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃতরা আদালতে দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তমূলোক জবানবন্দী দিয়েছেন।

এ ঘটনার প্রতিবাদে দেশব্যাপী ঐতিহাসিক কিশোর জাগরণ প্রত্যক্ষ করে বিশ্ববাসী। সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা নেমে আসে রাজপথে। তাদেরকে সঙ্গ দেয় উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীরাও। পরবর্তী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এই আন্দোলনে সমর্থন দেন।

আন্দোলনের মুখে সড়ক পরিবহন আইন সংশোধন করে জাতীয় সংসদে পাস করা হয়।

 
Electronic Paper