ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কাঠগড়ায় বাবরসহ ৩১ আসামি, রায় পড়ছেন বিচারক

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১২:১৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১০, ২০১৮

আওয়ামী লীগের সমাবেশে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় পড়া শুরু করেছেন বিচারক। বুধবার (১০ অক্টোবর) বেলা ১১টা ৩৭ মিনিটে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে অবস্থিত ঢাকার ১নং অস্থায়ী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিন এ রায় পড়া শুরু করেন। এর আগে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে কারাগার থেকে ৩১ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

এর মধ্যে বাবরসহ কয়েকজনকে একটি মাইক্রোবাসে ও অন্যদের ২টি প্রিজন ভ্যানে করে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। গ্রেনেড হামলা মামলার রায় পড়ছেন বিচারক।

এর আগে ভোর ৬টা ৫০ মিনিটে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আসামিদের ঢাকায় আনা হয়। পুলিশের প্রিজনভ্যানে বাড়তি নিরাপত্তা দিয়ে তাদের ঢাকায় এনে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের গারদে রাখা হয়।

দীর্ঘ ১৪ বছর পর বুধবার এই মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করবেন। এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন বিচারক।

রায় ঘিরে আদালত ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সকাল থেকে তল্লাশি করে আইনজীবীদের আদালতে ঢুকতে দেয়া হয়।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ১ ও ২ (ভারপ্রাপ্ত) এর জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ১ ও ২- এ থাকা ১৪ আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও আব্দুস সালাম পিন্টু রয়েছেন।

অন্যদিকে, কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ জানান, হাইসিকিউরিটিতে থাকা ১৭ জন আসামিকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বর্বর এ হামলার ঘটনায় দায়ের দুই মামলায় মোট আসামি ছিল ৫২ জন। বিচার চলাকালীন আসামি জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এবং হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান ও শরিফ শাহেদুল ইসলাম বিপুলের ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর হামলার মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় তাদের এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এজন্য বর্তমানে মামলা দুটিতে মোট আসামি ৪৯ জন।

উল্লেখ্য, ১৪ বছর আগে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের সামনে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যা করা হয়। আহত হন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুলিশ তদন্ত করে ৫২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালত তা আমলে নিয়ে বিচার শুরু করেন। রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণের জন্য ২২৫ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করে। রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আদালত রায়ের জন্য দিন ঠিক করেন। ৫২ আসামির মধ্যে অন্য মামলায় জামায়াত নেতা আলী আহসান মুজাহিদ, হুজি নেতা মুফতি হান্নানসহ তিনজনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। কারাগারে আছেন ৩১ আসামি। মামলার আসামি তারেক রহমানসহ পলাতক আছেন ১৮ জন।

 
Electronic Paper