খালেদার চিকিৎসা নিয়ে রিটের শুনানি আজ
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১২:১৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৮
দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজা পেয়ে কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেশের বিশেষায়িত কোনো হাসপাতালে চিকিৎসার নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি হবে আজ। গতকাল সোমবার রিটটির উপর নট টু ডে আদেশ দেয় হাইকোর্ট। এর ফলে আবেদনটির ওপর মঙ্গলবার শুনানি হবে বলে জানিয়েছিলেন তার আইনজীবীরা।
খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন এ কে এম এহসানুর রহমান।
শুনানির জন্য খালেদা জিয়ার আবেদনটি হাইকোর্টের কার্যতালিকায় ৬৫ নম্বরে রাখা হয়েছিল। তবে শুনানির প্রস্তুতির জন্য আরও সময় প্রয়োজন উল্লেখ করে সোমবার হাইকোর্টের কাছে সময় আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। এরপর আদালত সময় আবেদনটি মঞ্জুর করে নট টু ডে আদেশ দেন।
গত ৯ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া বিশেষায়িত বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সুবিধা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী নওশাদ জমির বলেন, রিটে ইউনাইটেড বা বিশেষায়িত হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য একটি বিশেষ বোর্ড গঠন করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজি (প্রিজন), ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সুপারসহ সাতজনকে বিবাদী করা হয়েছে।
গত বুধবার থেকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে খালেদা জিয়ার বিচার শুরু হয়েছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ডিত হয়ে তিনি কারাগারে যাওয়ার পর আর এই মামলায় শুনানি হয়নি।
প্রায় শেষ পর্যায়ে থাকা এই মামলার শুনানির একাধিক তারিখ পড়লেও বিএনপি নেত্রী অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজির না হওয়ায় তারিখ পিছিয়েছে। এই অবস্থায় দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদনে কারাগারেই আদালত বসানোর অনুমতি দেয় আইন মন্ত্রণালয়। আর ৫ সেপ্টেম্বর সেই আদালতে শুনানিও হয়।
শুনানিতে হুইল চেয়ারে করে সেখানে হাজির হয়ে শারীরিক অসুস্থতার কথা বলেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তবে সেদিন বিএনপি নেত্রীর আইনজীবীরা আদালতে যাননি।
৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ৫ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়। এদিন থেকে খালেদা জিয়া পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডে ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী। তার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা ছাড়াও দুর্নীতির আরও চারটি মামলা চলছে।
ইতিহাস বিকৃতি, মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে কটূক্তি, ১৫ আগস্ট ভুয়া জন্মদিন পালনসহ ৩০টিরও বেশি মামলা রয়েছে বিএনপি নেত্রীর বিরুদ্ধে।