ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

দু’হাজার কোটি টাকা পাচার

বরকত-রুবেলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৮:৪৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১

বরকত-রুবেলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ

দু’হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানার মামলায় ফরিদপুর শহরের সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের বহিষ্কৃত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেল-সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।

একই সঙ্গে এ মামলার পলাতক আসামি খন্দকার মোহতেসাম হোসেন বাবর, এএইচএম ফুয়াদ, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, কামরুল হাসান ডেভিড, মুহাম্মদ আলি মিনার ও তারিকুল ইসলাম ওরফে নাসিমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৩ অক্টোবর দিন ধার্য করেন আদালত।

এর আগে ৩ মার্চ ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেল-সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস।

অভিযুক্ত অন্যরা হলেন, ফরিদপুর শহরের নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, আসিকুর রহমান ফারহান, খন্দকার মোহতেসাম হোসেন বাবর, এএইচএম ফুয়াদ, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, কামরুল হাসান ডেভিড, মুহাম্মদ আলি মিনার ও তারিকুল ইসলাম ওরফে নাসিম।

গত বছরের ২৬ জুন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ বাদী হয়ে অর্থ পাচারের অভিযোগে ঢাকার কাফরুল থানায় বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় দু’ভাইয়ের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে দু’হাজার কোটি টাকা উপার্জন ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১০ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত ফরিদপুরের এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি বিভাগের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হন বরকত ও রুবেল। এ ছাড়া তারা মাদক কারবারি এবং ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদ করেছেন। তারা এসি ও নন-এসিসহ ২৩টি বাস, ড্রাম ট্রাক, বোল্ডার ও পাজেরো গাড়ির মালিক হয়েছেন। সেই সঙ্গে তারা দু’হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রথম জীবনে দু’ভাই রাজবাড়ীর এক বিএনপি নেতার সঙ্গী ছিলেন। ১৯৯৪ সালের ২০ নভেম্বর ওই এলাকায় এক আইনজীবী খুন হন। ওই হত্যা মামলার আসামি ছিলেন বরকত ও রুবেল।

 
Electronic Paper