ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ফিরোজ রশীদের মামলায় হাইকোর্ট আদেশ ৬ সপ্তাহ স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১:৫৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১

ফিরোজ রশীদের মামলায় হাইকোর্ট আদেশ ৬ সপ্তাহ স্থগিত

জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী ফিরোজ রশীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলা বাতিলের রায় প্রত্যাহার করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ ছয় সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।

ফিরোজ রশীদের আনা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ আজ এ আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান। কাজী ফিরোজ রশীদের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এম কে রহমান।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান আজ বাসস’কে জানান, কাজী ফিরোজ রশীদ মামলাটি বাতিল চেয়ে ২০১৭ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে হাইকোর্ট মামলা বাতিল করে রায় দেন। পরবর্তীতে দুদক মনে করে, আরও আইনগত কিছু তথ্য ও যুক্তি তুলে ধরা প্রয়োজন। এ কারণে রায় ঘোষণা করা হলে সই না হওয়ায় তা প্রত্যাহার (রিকল) চেয়ে আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত তা গ্রহণ করেছেন। এখন এ রিটের ওপর পুনরায় শুনানি হবে। এরপর হাইকোর্টের ৯ সেপ্টেম্বরের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে কাজী ফিরোজ রশীদ। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ রিকল করার আদেশ ছয় সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন।

২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক জুলফিকার আলী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় বলা হয়, ১৯৫১ সালের ৩ নভেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ২ নম্বর রোডে অবস্থিত এক বিঘা আয়তনের সরকারি জমিসহ বাড়ি (প্লট নম্বর ১০, বাড়ি নম্বর-৬৫), যা তৎকালীন কানাডার হাইকমিশনার মোহাম্মদ আলীর অনুকূলে বরাদ্দ দেয়া হয়।

পরে মরহুম মোহাম্মদ আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী বেগম আলিয়া মোহাম্মদ আলী, ছেলে সৈয়দ মাহমুদ আলী ও মেয়ে সৈয়দা মাহমুদা আলীর নামে হস্তান্তর অনুমতিসহ ১৯৭০ সালের ৩০ মে মাসে নামজারি করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭০ সালের ২২ মে মন্ত্রণালয় থেকে তাদের হস্তান্তরের অনুমতি দেয়া হয়। কিন্তু ১৯৭৯ সালের ১৬ আগস্ট কাজী ফিরোজ রশীদের রেজিস্ট্রি করা ডিড অব অ্যাগ্রিমেন্ট ফর সেল নম্বর- ৩১১৫৪ দলিলে ভুয়া দাতা বেগম আলীয়া মোহাম্মদ আলী ও সাক্ষী কাজী আরিফুর রহমান সাজিয়ে ও কাগজপত্রে দেখিয়ে ওই সময়ের তৎকালীন জেলা রেজিস্ট্রার এম আহমেদের সহযোগিতায় ওই সম্পত্তি দখল করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। মামলার এজাহারে ঘটনার সময়কাল ধরা হয়েছে ১৯৭৯ সালের ৯ আগস্ট থেকে একই সময়ের ১৬ আগস্ট পর্যন্ত।

 
Electronic Paper