স্বাস্থ্যের সাবেক গাড়িচালক মালেকের ৩০ বছরের কারাদণ্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১২:৩৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১
অস্ত্র আইনের মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক গাড়িচালক আবদুল মালেক ওরফে বাদলের ৩০ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায়ে অস্ত্র আইনের দুই ধারায় ১৫ বছর করে ৩০ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়। তবে দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে উল্লেখ করায় সাজা দাঁড়ায় ১৫ বছরের জেল।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) এ রায় ঘোষণা করেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রবিউল আলম। এদিন রায় ঘোষণার সময় কারাগার থেকে মালেককে আদালতে হাজির করা হয়।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর এ মামলার যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে রায়ের জন্য ২০ সেপ্টেম্বর দিন নির্ধারণ করেন আদালত। গত ৯ সেপ্টেম্বর আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান আব্দুল মালেক। এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। মামলাটিতে ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনেরই সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ মামলাটি ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে পরবর্তী বিচার নিষ্পত্তির জন্য বদলির আদেশ দেন।
২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে গাড়িচালক আবদুল মালেককে গ্রেফতার করে র্যাব-১। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ টাকার বাংলাদেশি জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় র্যাব-১-এর পুলিশ পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, তৎকালীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) গাড়িচালক মালেক। তিনি সরকারি গাড়ি চালক সমিতির সভাপতি ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মচারী সমিতির সভাপতি হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে প্রভাব খাটিয়ে নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্যে ও জাল টাকার ব্যবসা করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হন। তার বাসায় এসব কাজে ব্যবহৃত পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি ও এক লাখ ৫০ হাজার জাল টাকা পাওয়া যায়। সেসময় অস্ত্র আইনের দুটি ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।