ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পরীমণির মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ৮ জুলাইয়ের মধ্যে জমার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৪:২৬ অপরাহ্ণ, জুন ১৫, ২০২১

পরীমণির মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ৮ জুলাইয়ের মধ্যে জমার নির্দেশ

অভিনেত্রী পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে সাভার থানায় দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ৮ জুলাইয়ের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট (সিএমএম) আদালত এই আদেশ দেন।

ঢাকা জেলা পুলিশের পরিদর্শক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সাভার থানায় করা চিত্রনায়িকা পরীমণির ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন আদালত। এ মামলার প্রধান আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনেও মামলা করা হয়েছে।

এর আগে ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাভার থানায় মামলা দায়ের করা হয়। সোমবার (১৪ জুন) সকালে মামলাটি দায়ের করা হয়। এতে নাসিরসহ দুইজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও আরও ৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

পরে এর আগে সোমবার (১৪ জুন) দুপুরে রাজধানীর উত্তরা-১ নম্বর সেক্টরের-১২ নম্বর রোডের বাসা থেকে ওই ৫ জনকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

অভিযান শেষে ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন-অর-রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা (যেখান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে) পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার অমির বাসা। পরীমনির সংবাদ সম্মেলনের পর থেকে নাসির ওই তিন নারীকে নিয়ে এ বাসায় পালিয়ে ছিলেন। মাদক রাখার অভিযোগে সেই তিন নারীকেও আমরা গ্রেফতার করেছি।’

নাসির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নাসিরের বিরুদ্ধে আগেও মাদক এবং নারী নির্যাতনের মামলা হয়েছে। নানা অভিযোগে তাকে উত্তরা ক্লাব থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে বলে জেনেছি। কেউ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে আমরা সেগুলোর তদন্ত করব।’

এর আগে রোববার রাত ৮টার দিকে ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়ে অভিযোগ তোলার পর রাতে সাংবাদিকদের বনানীর বাসায় ডেকে ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরেন তিনি।

পরীমনির স্ট্যাটাস সম্পর্কে জানতে চাইলে পুলিশ সদরদফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মো. সোহেল রানা বলেছিলেন, ‘তিনি অবশ্যই ন্যায়বিচার পাবেন। আমরা তার ন্যায়বিচারের জন্য কাজ করব। কেন তিনি আইজিপি স্যারের নাম উল্লেখ করেছেন তা আমি বুঝতে পারছি না। আমরা নিশ্চিত, তিনি মোটেই আইজিপি স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। আইজিপি স্যার সর্বদা নারী ও শিশুদের অধিকারের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল।’

এরপর রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার বনানীর বাসায় সাংবাদিকদের কাছে ‘নির্যাতনকারীদের’ নাম-পরিচয় প্রকাশ করেন পরীমনি।

সংবাদ সম্মেলনে পরীমনি বলেন, ‘গত বুধবার (৯ জুন) রাত ১২টায় আমাকে বিরুলিয়ায় নাসির উদ্দিন মাহমুদের কাছে নিয়ে যায় অমি। ওই সময় নাসির নিজেকে ঢাকা বোট ক্লাবের সভাপতি হিসেবে পরিচয় দেন। সেখানে নাসির আমাকে মদ খেতে অফার করেন। আমি রাজি না হলে আমাকে জোর করে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে আমাকে চড়-থাপ্পড় মারেন। তারপর আমাকে নির্যাতন ও হত্যার চেষ্টা করেন। অমিও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।’

 
Electronic Paper