আমেরিকায় ‘স্যাটায়ার’ করে কিন্তু কুৎসিতভাবে না: প্রধান বিচারপতি
নিজস্ব প্রতিবেদক ৮:৪১ অপরাহ্ণ, মার্চ ০৭, ২০২১

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, ‘আপনি সতর্ক করবেন। আবার যদি আসে তারপরে আর বেল (জামিন) হবে না। দেশের ইমেজ আপনারা নষ্ট করে দেবেন। আমেরিকায় তো মানুষ ‘স্যাটায়ার’ করে। কিন্তু আমাদের এখানকার মতো কুৎসিতভাবে লেখে না। যেসব ভাষা লেখে একজন শিক্ষিত মানুষ কীভাবে এসব ভাষা ব্যবহার করতে পারে? তাহলে শিক্ষার দাম কী হলো?’
রোববার (৭ মার্চ) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার আসামি সিলেটের গোলাম সারোয়ারের জামিন আবেদনের ওপর আপিল বিভাগের শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানের উদ্দেশে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি।
শুনানিতে সারোয়ারের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এক বছর ধরে কারাগারে আছেন সারোয়ার। এই মামলায় এখন পর্যন্ত অভিযোগপত্র দেওয়া হয়নি। তার হৃদযন্ত্রে চারটি স্টেন্ট পরানো আছে, স্বাস্থ্যগত কারণে জামিন চাওয়া হয়েছে।
আদালত বলেন, এত স্টেন্ট থাকার পরেও আপনি এসব করেন? তখন আসাদুজ্জামান বলেন, গত ১৪ মার্চ থেকে কারাগারে আছেন। প্রায় এক বছর ধরে বিনা বিচারে কারাগারে আছেন। অভিযোগপত্র হয়নি এখনো। হাইকোর্ট মূলত মেডিকেল গ্রাউন্ডে জামিন দিয়েছেন।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আসামির আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, ‘ভবিষ্যতে এগুলো করলে আর ছুটবেন (জামিন) না, যতই কথা বলুক। এসব বাড়াবাড়ি করে দেশের ইমেজ যদি নষ্ট করেন, দেশের ইমেজ হলো সবার আগে।’
পরে আদালত ওই আসামির জামিন বহাল রেখে আদেশ দেন এবং ভবিষ্যতে আর যাতে এ ধরনের মন্তব্য না করেন সেজন্য আইনজীবীর মাধ্যমে তাকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত দেবনাথ।
এ মামলায় গত বছরের অক্টোবরে হাইকোর্ট রুল দিয়ে সারোয়ারকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে, ফলে গত বছরের ১৮ অক্টোবর চেম্বার আদালতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত হয়। এর ধারাবাহিকতায় রোববার আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি শুনানির জন্য ওঠে।
প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে কটাক্ষ এবংদেশ নেতিবাচক বিভিন্ন পোস্ট ও ছবি বিকৃত করে ফেসবুকে পোস্ট এবং শেয়ার করার অভিযোগে গত বছরের মার্চে গোলাম সারোয়ারের বিরুদ্ধে সিলেট থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়।