ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ব্যবসায়ীর ওপর কাউন্সিলরের হামলা, মামলা না নেয়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৫:৪৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ০৭, ২০২১

ব্যবসায়ীর ওপর কাউন্সিলরের হামলা, মামলা না নেয়ার অভিযোগ

রাজধানীর আশকোনায় বাবুস সালাম ওয়াকফ এস্টেট মসজিদ মার্কেটের এক ব্যবসায়ীকে মারধর ও তার দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিসুর রহমান নাঈমের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মাে. নাজমুল আজম ভুইয়া অভিযোগ করেছেন গত ৫ জানুয়ারি হামলার শিকার হওয়ার পর তিনি বিমানবন্দর থানার ওসি বরাবর অভিযোগ করলেও বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত থানা থেকে মামলা নেয়া হয় নি। এ বিষয়ে ওই ব্যবসায়ী ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার বরাবরও লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী নাজমুল আজম ভুইয়া দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বাবুস সালাম ওয়াকফ এস্টেট মসজিদ মার্কেটে এয়ারপাের্ট রেস্তোরা এবং দাওয়াত রেষ্ট হাউজ নামে দুটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছেন। ওই প্রতিষ্ঠান দুটো দীর্ঘদিন ধরেই দখল করার পায়তারা করছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর আনিসুর রহমান নাঈম ও তার দলবল।

পরে এ বিষয়ে আদালতের শরনাপন্ন হন ব্যবসায়ী নাজমুল। তখন আদালত প্রতিষ্ঠান দুটির ওপর নাজমুলের মালিকানা বজায় রাখতে ১৪৫ ধারা জারি করেন যা এখনাে বলবৎ আছে । এরপরও আদালতের আদেশ অমান্য করে গত ৫ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১২ টার দিকে কাউন্সিলর নাঈম ও তার দলবল তার ২ টি প্রতিষ্ঠানে হামলা করে ব্যাপক ভাংচুর লুটপাট করে এবং আদালতের নির্দেশনা বাের্ড ছিড়ে ফেলে দেয়। হামলায় ব্যবসায়ী নাজমুল মারাত্মকভাবে আহত হন। তিনি বিষয়টি স্থানীয় পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এসআই মেহেদী এবং বিমান বন্দর থানার ওসি-অপারেশন ও ওসি তদন্তকে জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলাকারীদের মধ্যে মনির হােসেন, মাসুদসহ কয়েকজনকে আটক করে।

অভিযোগে বলা হয়, পুলিশ হামলাকারীদের কাছ থেকে ব্যবসায়ী নাজমুলকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করে।

ভুক্তভোগী নাজমুল জানান, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে আমার দায়েরকৃত ২ টি মামলাসহ অন্যদের ১৪ টি মামলা বিচারধীন রয়েছে। যার মধ্যে
১০ টি মামলার অভিযােগের সপক্ষে তদন্তকারী কর্মকর্তারা চার্জশিট দিয়েছেন। বিভিন্ন জাতীয়
পত্রিকা,ইলেকটনিক মিডিয়া ইতাদিতে ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত অনেক সংবাদ ও প্রতিবেদনও প্রচারিত হয়েছে।

তিনি বলেন, হামলার পর আমি থানায় তাদের বিরুদ্ধে হামলার ঘটনায় আরেকটি মামলা করতে যাই। কিন্তু এখন পর্যন্ত পুলিশ সে মামলা গ্রহণ করে নি। এ বিষয়ে আমি উত্তরার ডিসির কাছেও অভিযোগ করেছি, তিনি আমাকে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

ভুক্তভোগী এই ব্যবসায়ী আরও বলেন, আমি এসব সন্ত্রাসীদের বিরূদ্ধে অতিস্বত্তর যথাযথ ও কার্যকর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি আমার দুটি প্রতিষ্ঠানে নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে ব্যবসা পরিচালনা করার সুযোগ চাচ্ছি।

এদিকে নাজমুলের অভিযোগের ভিত্তিতে বিমানবন্দর থানার ওসি ফরমান আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

 
Electronic Paper