এমসি কলেজে গণধর্ষণ: কলেজ কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা চ্যালেঞ্জ করে রিট
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১:৪৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০
সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও কলেজ কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট করেন আইনজীবী হাফিজ মোহাম্মদ মিজবাহ উদ্দিন।
হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিঞা ও বিচারপতি মো. মহিউদ্দিন শামিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ বিষয়ে আজ শুনানি হতে পারে বলে জানান আইনজীবী।
গত শুক্রবার এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর কাছ থেকে ওই গৃহবধূকে জোর করে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে আটকে রাখে দুজন।
এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেছেন। মামলায় ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়। অভিযুক্ত ছাত্রলীগকর্মীরা সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক রণজিৎ সরকারের অনুসারী।
এ ঘটনায় রোববার দুপুরে সিলেট মহানগর হাকিম ৩য় আদালতের হাকিম শারমিন খানম নিলার কাছে সেই রাতের ঘটনার জবানবন্দি দেন নির্যাতনের শিকার নারী। এ সময় তিনি ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেন। আদালত গৃহবধূর জবানবন্দি রেকর্ড করে তাকে পরিবারের জিম্মায় দিয়ে দেন।
এ নিয়ে চাঞ্চল্যকর এই মামলায় এজাহারনামীয় পাঁচ আসামিসহ সিলেট রেঞ্জ পুলিশ ও র্যাব-৯ এর হাতে গ্রেফতার সাতজনের মধ্যে ছয়জনকে পাঁচদিন করে রিমান্ডে পেল পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে সিলেট মহানগর হাকিম দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান এ ঘটনায় গ্রেফতার আরও তিনজনের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এ নিয়ে চাঞ্চল্যকর এই মামলায় এজাহারনামীয় পাঁচ আসামিসহ সিলেট রেঞ্জ পুলিশ ও র্যাব-৯ এর হাতে গ্রেফতার সাতজনের মধ্যে ছয়জনকে পাঁচদিন করে রিমান্ডে পেল পুলিশ। এর আগে সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) তিন আসামিকে রিমান্ডে নেয়া হয়।