ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায়

একজনের মৃত্যুদণ্ড, ১১ জনের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
🕐 ২:৫৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০

কুষ্টিয়ায় ফরিদুল ইসলাম (৩২) হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ও ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়া দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বানিয়াপাড়া এলাকার নফছের আলী ছেলে জগো (৩০)।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়া সদরের সোনাইডাঙ্গা এলাকার বদর উদ্দিনের ছেলে ইলাম মণ্ডল ওরফে কালু (৩২), বৃত্তিপাড়া এলাকার মনোয়ার মণ্ডলের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩০), একই এলাকার শামসুলের ছেলে ইউনুচ (৩৫), গজনবীপুর এলাকার মৃত আলম ফকিরের ছেলে বাদশা ওরফে বাশি মণ্ডল (৩৮), দেড়িপাড়া এলাকার তোয়াক্কেল জোয়াদ্দারের ছেলে আলিম ওরফে ঝড়ো (৩৮), উজানগ্রাম এলাকার মোনাউল্লাহর ছেলে বাবলু (৪০), বারুইপাড়া এলাকার আফাজ সর্দারের ছেলে আমিরুল ইসলাম (৩৫), একই এলাকার মৃত তাইজাল হোসেনের ছেলে রহমত ওরফে সাইদুল (২৬), ইজ্জত আলীর ছেলে মিজানুর রহমান (৩৫), ইয়ার আলীর ছেলে আলী হোসেন (২৫) ও আব্দুল মজিদ মণ্ডলের ছেলে আসাদুল (২১)।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শহিদুল, আলিম, বাবলু, সাইদুল, মিজানুর, আলী, ইউনুচ এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জাগো পলাতক থাকায় রায় ঘোষণার সময় অনুপস্থিত ছিলেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ২৪ অক্টোবর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানাধীন বারুইপাড়া গ্রামে একটি সেতুর রেলিংয়ের ওপর দেহবিহীন মাথা পাওয়া যায়। সেতু থেকে কিছুটা দূরে নালার ভেতর দেহ পড়ে ছিল। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় দেহবিহীন মাথাটি এবং মাথাবিহীন দেহটি উদ্ধার করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা পুলিশ নিহত ব্যক্তির পরিচয় উদঘাটনের চেষ্টা করে। পুলিশ জানতে পারে মরদেহটি মিরপুর উপজেলার স্বরুপদহ গ্রামের ফরিদুল ইসলামের (৩২)। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

থানার তৎকালীন উপরিদর্শক (এসআই) নূরুজ্জামান মল্লিক থানায় হত্যা মামলা করেন। পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী কামাল হোসেন মামলাটি আংশিক তদন্ত করেন। পরবর্তীতে মামলাটি জেলা গোয়েন্দা শাখায় বদলি হলে এসআই মোরাদুল ইসলাম ও খাদেমুল ইসলাম তদন্ত করেন। সর্বশেষ এসআই মনিরুল ইসলাম তদন্ত করে ২০১৬ সালের ২০ জুন ইলাম মণ্ডল, শহিদুল ইসলাম, বাদশা,আলিম, আমিরুল ইসলাম, বাবলু, রহমত, মিজানুর রহমান, আলী হোসেন, আসাদুল, জগো ও ইউনুচদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী জানান, ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এবং দুই আসামির জবানবন্দিতে অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমাণিত হওয়ায় ৩০২ ধারায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। সেই সঙ্গে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।

 
Electronic Paper