ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

হুইপের মামলায় সেই ইন্সপেক্টরের জামিন করালেন ব্যারিস্টার সুমন

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৩:১৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২০

জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর করা মামলায় জামিন পেলেন সেই পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদ সাইফুল আমীন। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ব্যারিস্টার সাইদুল হক সুমনের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস-শামস জগলুল হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে বিচারক ৫০০ টাকা মুচলেকায় জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

 

এর আগে গত বছরের ২০ সেপ্টম্বর হুইপ শামসুল আলম ক্লাবে জুয়ার আসর থেকে ১৮০ কোটি টাকা আয় করেন- ফেসবুকে এমন একটি পোস্ট দেয়ার অভিযোগে সাইফুলের বিরুদ্ধে মামলা করে হুইপ। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজমকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। পরে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় পুলিশ পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) মাহমুদ সাইফুলের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামীম আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত বুধবার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে পুলিশ পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) মাহমুদ সাইফুল বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। আজ তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন।

পুলিশ পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) মাহমুদ সাইফুলের আইনজীবী ব্যারিস্টার সাইদুল হক সুমন বলেন, মাহমুদ সাইফুল আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে ৫০০ টাকা মুচলেকায় আদালত জামিন মঞ্জুর করেন।

হুইপের আইনজীবী হায়দার তানভীর বলেন, ২০ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরী জুয়ার আসর থেকে ১৮০ কোটি টাকা আয় করেছেন এমন পোস্ট দেন ইন্সপেক্টর মাহমুদ সাইফুল আমিন। এতে হুইপের মান-সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। ট্রাইব্যুনালে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫(১)ক, ২৫ (২),৩১(১)(২) ধারায় মামলা হয়। আদালত পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজমকে তদন্ত করে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

চট্টগ্রাম আবাহনী ক্লাবের জুয়ার আসর থেকে গত পাঁচ বছরে ক্লাবটির মহাসচিব ও জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরী ১৮০ কোটি টাকা আয় করেন বলে অভিযোগ করেছেন পুলিশ পরিদর্শক। গত ২০ সেপ্টেম্বর নিজের ফেসবুক ওয়ালে এ-সংক্রান্ত পোস্ট দেন তিনি। সাইফুল আমিন এক সময় চট্টগ্রামের হালিশহর থানা, চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের হাজতখানাসহ বিভিন্ন থানায় কর্মরত ছিলেন।

এদিকে ২৪ সেপ্টেম্বর পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শকের (এআইজি-পার্সোনাল ম্যানেজমেন্ট-২) পক্ষে এআইজি (পিআইও-১) আনোয়ার হোসেন খান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে মাহমুদ সাইফুল আমিনকে বরখাস্ত করা হয়।

চিঠিতে বলা হয়, বিভাগীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপ, জনসম্মুখে পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ন করা তথা অসদাচরণের দায়ে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ১২(১) মোতাবেক ঢাকার উত্তরা ১৩ এপিবিএনে কর্মরত সাইফুল আমিনকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত থাকবেন এবং প্রচলিত বিধি মোতাবেক খোরাকি ভাতা পাবেন।

 

 
Electronic Paper