ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রূপপুর ‘বালিশ-কাণ্ড’

১৩ জন কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:২৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের আবাসিক ভবনের জন্য ১৬৯ কোটি টাকার কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগে নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলমসহ ১৩ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৫টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি শুনানি শেষে আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আজ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ জানিয়েছেন, ওই দুর্নীতিতে সরকারের ৩১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- পাবনা গণপূর্ত বিভাগের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলম, তিন উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী তাহাজ্জুদ হোসেন, আহমেদ সাজ্জাদ খান ও মোস্তফা কামাল, উপসহকারী প্রকৌশলী আবু সাইদ, জাহিদুল হক, শফিকুল ইসলাম ও রওশন আলী, সহকারী প্রকৌশলী সুমন কুমার নন্দী, মোর্শেদ তারেক ও আমিনুল ইসলাম এবং দুই ঠিকাদার সাজিন কনস্ট্রাকশনের মালিক শাহাদাত হোসেন ও মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশনের মালিক আসিফ হোসেন।

এদিন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। অপরদিকে দুদকের আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আজ সাংবাদিকদের দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে দুর্নীতির কারণে সরকারের ৩১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে। অনুসন্ধান চলছে। সেটি শেষ হলে সঠিক টাকার পরিমাণ বলা যাবে। তিনি বলেন, তদন্ত কর্মকর্তারা আমাদের কাছে মামলার অনুমতি চেয়েছিলেন। আমরা মামলার অনুমোদন দিয়েছি।

ওই প্রকল্পের আবাসিক ভবনের জন্য ১৬৯ কোটি টাকার কেনাকাটায় পদে পদে দুর্নীতি হয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে। সেখানে প্রতিটি বালিশ কিনতে খরচ দেখানো হয়েছে ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা। এরকম সব ক্ষেত্রেই অস্বাভাবিক খরচ দেখানো হয়।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দুই কমিটির তদন্তেই ৬২ কোটি ২০ লাখ ৮৯ হাজার টাকার অনিয়মের কথা উঠে আসে। যেখানে চুক্তিমূল্যের চেয়ে ৩৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা বেশি সরকারি কোষাগারে ফেরত আনতে সুপারিশসহ বিষয়টি দুদকে পাঠানো হয়।

 
Electronic Paper