ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১২:৪৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৮, ২০১৯

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার করা জামিন আবেদনের শুনানি হয়েছে। এ জামিন আবেদনের শুনানিতে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত অবস্থার বিষয়ে জানতে মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্ট চেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বিএসএমএমইউ) এ প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। সেই সঙ্গে ওই দিন পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ছয় সদস্যের বেঞ্চের শুনানিতে এই আদেশ দেন।

এ সময় খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরোদ্দোজা বাদল, কায়সার কামাল, ফাইয়াজ জিবরান প্রমুখ। শুনানিতে মানবিক দিক বিবেচনা করে খালেদা জিয়ার জামিন চান জয়নুল আবেদীন।

এদিকে সকাল থেকেই সুপ্রিম কোর্টের প্রতিটি প্রবেশপথ, আশপাশে ও আদালত চত্বরের অভ্যন্তরের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়। এছাড়া আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করে আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী, সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্টদের আদালত চত্বরে প্রবেশ করানোর ব্যবস্থা করে।

এর আগে গত ২৫ নভেম্বর খালেদা জিয়ার এ জামিন আবেদনটি আপিল বিভাগে শুনানির জন্য আসলে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ বলেন, ‘এটি আমরা পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে (আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতি) শুনব।’

এরপর জামিন আবেদনের বিষয়টি শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করা হয়। তবে ওইদিন সুপ্রিম কোর্টে আজকের মত বাড়তি নিরাপত্তা ছিল না।

পরের দিন গত মঙ্গলবার দুপুরে প্রেসক্লাবের দিক থেকে আসা বিএনপির নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে হঠাৎ সুপ্রিম কোর্টের সামনের সড়কে অবস্থান নেন। তখন সুপ্রিম কোর্টের সবগুলো গেট বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে বিএনপি নেতাকর্মীদের সরানোর সময় পুলিশের ধাওয়ায় তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

গত বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান। রায়ে খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।

এছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও খালেদা জিয়াকে গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে ওই মামলায় তার ১০ বছর দণ্ড হয়। দীর্ঘদিন কারাগারে থেকে অসুস্থ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছেন।

 

 
Electronic Paper