হলি আর্টিজান মামলার রায়: আট আসামি আদালতে
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:৪৯ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলা মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আজ (২৭ নভেম্বর) রায় ঘোষণা করা হবে। ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান দুপুর ১২টার দিকে এ রায় ঘোষণা করবেন। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আট আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে প্রিজন ভ্যানে কারাগার থেকে তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানার ওসি মঈনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে এ রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আদালত পাড়াসহ রাজধানী ও সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থপনায় নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট সদস্যদের দায়িত্ব পালনে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করতে নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দফতর।
ভয়াবহ এ জঙ্গি হামলার রায়কে ঘিরে গতকাল মঙ্গলবার থেকেই ঢাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার আদালত পাড়া পরিদর্শন করেছেন ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় তারা জানান, প্রয়োজন মনে হলে রায় ঘোষণার পরও নিরাপত্তা জোরদার থাকবে।
র্যাব, পুলিশ ও সাদা পোশাকের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা পুরো এলাকা নজরদারিতে রেখেছেন।
এছাড়াও পুলিশ-র্যাবের সমন্বয়ে রাজধানীতে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পুরান ঢাকার বেশ কয়েকটি রোডে পথচারি চলাচল সীমিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে আদালতে প্রবেশদ্বারে বসানো হয়েছে র্যাব ও পুলিশের নিরাপত্তা চৌকি। এছাড়াও দেহতল্লাশি করা হচ্ছে।
বুধবার সকাল থেকেই পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় এ চিত্র দেখা গেছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, রায় ঘোষণার জন্য কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সকাল ১০টায় আসামিদের পাঠানো হবে। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে আসামিদের এজলাসে উঠানো হবে। দুপুর ১২টার দিকে রায় ঘোষণা করা হবে। রায় ঘোষণার পর আদালত থেকে তাদের সরাসরি প্রিজন ভ্যান দিয়ে আবারও কারাগারে পাঠানো হবে।
এর আগে গত ১৭ নভেম্বর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণা জন্য এ দিন ধার্য করেন।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিসানে হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। তাদের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হন। পরে অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়। ওই ঘটনায় পরে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় একটি মামলা করে পুলিশ।