ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আইনজীবীর সহকারী হত্যায় ১২ জনের মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১২:১৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২১, ২০১৯

ঢাকার জজ কোর্টে আইনজীবীর সহকারী মোবারক হোসেন ভূঁইয়া (৪৫) হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের মামলায় হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১২ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আসামিদের মধ্যে আট জন কারাগারে, একজন জামিনে ও বাকিরা পলাতক রয়েছেন।

সোমবার (২১ অক্টোবর) ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মনির কামাল এ রায় ঘোষণা করেন।

মোবারক হোসেন কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানার গোথালিয়া ভূঁইয়াবাড়ীর মৃত ইশাদ ভূঁইয়ার ছেলে। দীর্ঘ সময় ধরে ঢাকা জজ কোর্টে আইনজীবীর ক্লার্ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানার গোথালিয়া ভূঁইয়াবাড়ীর মৃত হাজী সাইদুর রহমান ভূঁইয়া ওরফে অবু ভূঁইয়ার ছেলে মো. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া ওরফে মহুব, মোজাম্মেল হক ভূঁইয়া ওরফে বাদল ভূঁইয়া, আফজাল ভূঁইয়া, এমদাদুল হক ওরফে সিকরিত ভূঁইয়া, নয়ন ভূঁইয়া, ভূলন ভূঁইয়া ওরফে ভুলু, একই গ্রামের পরেশ সন্যাসীর ছেলে বিধান সন্যাসী, মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া ওরফে মহুবের ছেলে দেলোয়ার হোসেন ওরফে দিলিপ, সিকরিত ভূঁইয়ার স্ত্রী সুলতানা আক্তার, ছেলে নুরুজ্জামান, একই এলাকার নবুরিয়া গ্রামের শামসুদ্দিনের ছেলে রুহুল আমিন, একই গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে শামীম ওরফে ফয়সাল বিন রুহুল, রস্তুমপুর সবুজ ভূঁইয়ার ছেলে জয়নাল আবেদীন ওরফে ফালু, একই গ্রামের আবুল কালাম আজাদ ওরফে রাজা মিয়ার ছেলে শিপন মিয়া ও একই থানাধীন মইতপুরের কাজী জজ মিয়ার স্ত্রী নিলুফা আক্তার।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মোবারকের পরিবারের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে আসামিদের বিরোধ ছিল। ওই বিরোধের জেরে ২০১৫ সালের ২২ অক্টোবর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের পাশে মৃত্তিকা প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনের ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে আসামিরা মোবারক হোসেনের পেটে বল্লম দিয়ে আঘাত করেন। এতে মারা যান মোবরাক। পরদিন মোবারকের ছোট ভাই ১৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

২০১৭ সালের ২ জানুয়ারি বাজিতপুর থানার পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। একই বছর ১৭ ডিসেম্বর একই ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। চার্জশিটের ৩১ জন সাক্ষীর বিভিন্ন সময়ে ২৩ জন সাক্ষ্য দেন।

 

 

 
Electronic Paper