রিফাত হত্যা মামলায় গত ২২ আগস্ট আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়ার কথা থাকলেও প্রতিবেদন তৈরি করতে না পারায় আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়নি। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হলেও এরই গতকাল আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ।

তথ্য অনুযায়ী রিফাত হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরা হলেন- রিফাত ফরাজী, রিশান ফরাজী, চন্দন সরকার, রাব্বি আকন, হাসান, অলি, টিকটক হৃদয়, সাগর, কামরুল ইসলাম সাইমুন, আরিয়ান শ্রাবণ, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, তানভীর, নাজমুল হাসান, রাতুল সিকদার ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। তবে মামলার এজাহারভুক্ত ৫ নম্বর আসামি মুসা বন্ড, ৭ নম্বর আসামি মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, ৮ নম্বর আসামি রায়হান ও ১০ নম্বর আসামি রিফাত হাওলাদারকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। আর মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড গত ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।

গত ২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজ গেটের সামনে প্রকাশ্যে রিফাতকে কুপিয়ে আহত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় বরিশাল নেওয়ার পর মারা যান রিফাত। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার প্রধান সাক্ষী মিন্নিকে গত ১৬ জুলাই রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন তাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। দুদিন পরে মিন্নিকে আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। পরে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মিন্নির জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন
এদিকে এই মামলায় হাইকোর্ট থেকে পাওয়া আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। গতকাল রোববার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অন রেকর্ড সুফিয়া খাতুন এ আবেদন করেন। এর আগে গত ২৯ আগস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ দুই শর্তে মিন্নির জামিন মঞ্জুর করেন।

জামিন-পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় সে সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী বলেন, ‘উই আর ভেরি শকড (আমরা মর্মাহত)। আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ সে হিসেবেই গতকাল রাষ্ট্রপক্ষ মিন্নি জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করল।