ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ডেঙ্গু পরীক্ষায় প্রতারণার অভিযোগে ইবনে সিনার বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৩:১২ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩০, ২০১৯

ডেঙ্গু নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে ইবনে সিনা হাসপাতালসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ডেঙ্গু জ্বরের পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণা করায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত ইবনে সিনা হাসপাতালসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক আইনজীবী।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) ঢাকা মহানগর হাকিম দিদার হোসেনের আদালতে ঢাকা বারের আইনজীবী রমজান আলী সরকার মামলাটি করেন।

আসামিরা হলেন- ইবনে সিনা হাসপাতালের (ধানমন্ডি শাখা) চেয়ারমান, ইবনে সিনা গ্রুপের চেয়ারমান, ইবনে সিনা ডায়াগনোস্টিক অ্যান্ড ইমেজিং সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কনসালট্যান্ট (হেমাটোলজিস্ট) প্রফেসর কর্নেল (অব.) মো. মনিরুজ্জামান।

মামলার অভিযোগে বাদী বলেন, গত ২৫ জুলাই কোর্টের কাজ শেষে চেম্বারে অবস্থানকালীন শরীরে জ্বর অনুভব করি। পরে সহকর্মী অ্যাডভোকেট জাফর আহমেদ সুমনকে নিয়ে জ্বর পরীক্ষা করতে ধানমন্ডি ইবনে সিনা হাসপাতালে যাই। আউটডোরে পরামর্শ করা হলে তারা ডেঙ্গু জ্বরের ভয়াবহতা বিবেচনা করে ডেঙ্গু এনএসআই এজ এবং সিবিসি পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন। নির্ধারিত ফি দিয়ে রক্তের নমুনা প্রদান করা হলে তারা পরের দিন রিপোর্ট সংগ্রহ করতে বলেন।

তিনি বলেন, পরের দিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে রিপোর্ট সংগ্রহ করে দেখতে পাই রক্তের প্লাটিলেট লেভেল সাত লাখ ৮৪ হাজার সিএমএম। রিপোর্ট দেখে আমি আতঙ্কিত ও বিমর্ষ হয়ে পড়লে সহকর্মী জাফর আমাকে সান্ত্বনা দেন এবং অন্য আরেকটি ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে একই পরীক্ষা করার প্রস্তাব দেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রক্তের প্লাটিলেট লেভেল পরীক্ষার ফি জমা দিয়ে রক্তের নমুনা দেই। রাত সাড়ে ৯টার দিকে রিপোর্ট দিলে দেখা যায় রক্তের প্লাটিলেট লেভেল দুই লাখ। যা সুস্থ এবং স্বাভাবিক মানুষের শরীরে বিদ্যমান।

আইনজীবী আরও বলেন, একজন সুস্থ মানুষের রক্তের প্লাটিলেট লেভেল দেড় থেকে সাড়ে চার লাখ। কিন্তু তাদের রিপোর্টে রক্তের প্লাটিলেট লেভেল সাত লাখ ৮৪ হাজার দেখায়। যা কোনো সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে হতে পারে না। ওই হাসপাতাল আমার সরলতা এবং অসুস্থতাকে পুঁজি করে শারীরিক, মানসিক, আর্থিক এবং সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

আইনজীবী রমজান আলী সরকার বলেন, ইবনে সিনা ডায়াগনোস্টিক অ্যান্ড ইমেজিং সেন্টার ও প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার জন্য ভুল রিপোর্ট প্রদান করে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ২৬৯/২৭০/৪০৬ ধারায় অপরাধ করেছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার আবেদন করছি।

 
Electronic Paper