ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পাস্তুরিত ১৪ কোম্পানির দুধ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:৩৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৮, ২০১৯

সিসাসহ মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর উপাদান থাকায় সরকারের মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসটিআইয়ের অনুমোদিত ১৪ কোম্পানির সবগুলোকেই পাঁচ সপ্তাহ পাস্তুরিত দুধ উৎপাদন, সরবরাহ ও বিপণন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে জনসাধারণকে পাস্তুরিত দুধ কেনা ও খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

১৪ কোম্পানির পাস্তুরিত দুধ চারটি প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে পরীক্ষা করানোর পর সেই প্রতিবেদন গতকাল রোববার হাইকোর্টে জমা পড়ে। পরে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি মিল্কভিটাসহ ওই ১৪টি প্রতিষ্ঠানই ৫ সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞা বিএসটিআইয়ের অনুমোদন নিয়ে বৈধভাবে পাস্তুরিত দুধ উৎপাদন ও বিক্রি করে আসছিল। তবে, হাইকোর্টের এই আদেশের ফলে আগামী পাঁচ সপ্তাহ পাস্তুরিত দুধ বিক্রির কোনো সুযোগ থাকল না।

কোম্পানিগুলো হলো- আফতাব মিল্ক অ্যান্ড মিল্ক প্রডাক্ট লিমিটেডের আফতাব, আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের ফার্মফ্রেশ মিল্ক, আমেরিকান ডেইরি লিমিটেডের মো, বাংলাদেশ মিল্ক প্রডিউসারস কো অপারেটিভ উইনিয়ন লিমিটেডের মিল্ক ভিটা, বারো আউলিয়া ডেইরি মিল্ক অ্যান্ড ফুডস লিমিটেডের ডেইরি ফ্রেশ, ব্র্যাক ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রজেন্টের আড়ং ডেইরি, ড্যানিশ ডেইরি ফার্ম লিমিটেডের আয়রান, ইছামতি ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রডাক্টের পিউরা, ইগলু ডেইরি লিমিটেডের ইগলু, প্রাণ ডেইরি লিমিটেডের প্রাণ মিল্ক, উত্তরবঙ্গ ডেইরির মিল্ক ফ্রেশ, শিলাইদহ ডেইরির আল্ট্রা, পূর্ব বাংলা ডেইরি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের আরওয়া, তানিয়া ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টসের সেইফ।

প্রসঙ্গত, একটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের এই বেঞ্চ গত ১৪ জুলাই বাজারে থাকা বিএসটিআই অনুমোদিত সব কোম্পানির পাস্তুরিত দুধ পরীক্ষার নির্দেশ দেয়। এসব কোম্পানির দুধে অ্যান্টিবায়োটিক, ডিটারজেন্ট, ফরমালিন, ব্যাকটেরিয়া ও ফরমালিন আছে কিনা তা পরীক্ষা করে চারটি গবেষণাগারকে এক সপ্তাহের মধ্যে আলাদাভাবে প্রতিবেদন দিতে বলে আদালত।

জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর), ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডাইরিয়াল ডিজিজ রিসার্চ, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) ও সাভারের বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণাগারে বাজারের এসব দুধ স্বাধীনভাবে পরীক্ষা করতে বলা হয়। সেই সঙ্গে দুধে অ্যান্টিবায়োটিক বা ডিটারজেন্ট আছে কিনা তা পরীক্ষার সক্ষমতা অর্জন করতে বিএসটিআইয়ের ল্যাবরেটরির কত সময় ও অবকাঠামো প্রয়োজন সে বিষয়ে একটি কর্মপরিকল্পনা আদালতে জমা দিতে বলা হয়।

সেই প্রতিবেদন গতকাল আদালতে জমা পড়লে দেখা যায়, একটি পরীক্ষায় ১৪ কোম্পানির দুধেই মানবদেহের জন্য সহনীয় মাত্রার সীসা পাওয়া গেছে। আরেকটি পরীক্ষায় ১৪ কোম্পানির দুধেই পাওয়া গেছে অ্যান্টিবায়োটিক।

 
Electronic Paper