ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালে নুসরাতের শ্লীলতাহানির মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৩:৩৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ০৪, ২০১৯

ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে দায়ের করা মামলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. জাকির হোসাইন মামলার সকল নথিপত্র নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মামুনুর রশিদের আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বুধবার যৌন হয়রানির মামলায় অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ দৌলাকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সেদিন বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহ আলম ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনের আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ঘটনার দুই মাস পাঁচ দিনের মাথায় মামলাটির চার্জশিট দেওয়া হলো। পরে বৃহস্পতিবার চার্জশিটের ওপর আদালতে শুনানি হবে বলে জানানো হয়।

বৃহস্পতিবার চার্জশিটের ওপর আদালতে শুনানি হয়। শুনানি শেষে মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে পাঠানো হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ফেনী পিবিআইয়ের পরিদর্শক শাহ আলম জানান, গত ২৭ মার্চ অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা নুসরাতকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানি করেন। নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অধ্যক্ষ সিরাজকে গ্রেফতার করে। পরে পুলিশ সদর দফতর থেকে মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়। পিবিআই ৯৬ দিনের মাথায় বুধবার আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২৭১ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে ডাক্তার ও পুলিশসহ মোট ২৯ সাক্ষী রয়েছে।

গত ২৭ মার্চ সকালে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ দৌলা আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে তার কক্ষে ডেকে যৌন হয়রানির চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় নুসরাতের মা সোনাগাজী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। পুলিশ ওই দিনই মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়।

 
Electronic Paper