সবই আই ওয়াশ
রূপপুরে বালিশ কেনা নিয়ে হাইকোর্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:৫৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ০২, ২০১৯
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্রিনসিটি প্রকল্পে কেনাকাটায় দুর্নীতি তদন্তে সরকারের দুই কমিটি নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন না দেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করতে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে দুই সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া কেনাকাটায় স্বচ্ছতা রাখতে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে গণপূর্ত সচিব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব, গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারর্দীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব নির্দেশনা দেন।
এদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী সৈয়দ সায়্যেদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর আগে গত সোমবার মামলাটি শুনানির জন্য উঠলে রিটকারী আইনজীবী আদালতকে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে বলেও এখনো রিপোর্ট দেয়নি।
তখন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করীম বলেন, আগেই দুটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তারা কাজও শুরু করেছে। এছাড়া ওই প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত যে প্রকৌশলী তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
তখন বিচারপতি তারিক উল হাকিম বলেন, ‘এটা তো আইওয়াশ। নিশ্চয়ই সন্দেহজনক কিছু ছিল, নইলে তাকে প্রত্যাহার করল কেন? যেহেতু তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে, তাহলে তো তদন্তের কাজ আরও সহজ হয়ে গেল। ওই প্রকৌশলীকে ওখান থেকে সরিয়ে আরও ভালো জায়গায় কি দেওয়া হয়েছে?’
আমাতুল করীম বলেন, না। তাকে ফ্রিজ করে রাখা হয়েছে।
সম্প্রতি বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রকল্প ব্যয় নিয়ে গণমাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এসব প্রতিবেদনে উঠে আসে, প্রতিটি বালিশ কিনতে খরচ দেখানো হয়েছে পাঁচ হাজার ৯৫৭ টাকা। আর ভবনে বালিশ ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ৭৬০ টাকা। এভাবে বিভিন্ন সামগ্রী কেনাকাটায় বিপুল ব্যয় দেখানো হয়। এরপরই বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।