ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

প্রধানমন্ত্রীর ট্রেনে গুলির মামলার রায় কাল

পাবনা প্রতিনিধি
🕐 ১০:৪৯ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ০২, ২০১৯

দীর্ঘ ২৫ বছর পর আগামীকাল বুধবার আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে গুলিবর্ষণ মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক রোস্তম আলী উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ আদেশ দেন। এ সময় আসামিদের মধ্যে জেলহাজতে থাকা বিএনপির ৩০ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

চাঞ্চল্যকর এই মামলার প্রধান আসামি ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু এবং অন্যতম আসামি পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র মকলেছুর রহমান বাবলু এবং বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবীর দুলাল আদালতে হাজির না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

পাবনার সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আখতারুজ্জামান মুক্তা জানান, শেখ হাসিনাকে গুলিবর্ষণ মামলায় ৩৮ সাক্ষী আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন। সুস্পষ্টভাবে হামলার ঘটনায় আসামিদের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হয়েছে। ন্যক্কারজনক এ ঘটনায় আমরা আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করছি।

আসামি পক্ষের আইনজীবী মাসুদ খন্দকার জানান, এ মামলায় হাইকোর্টে লিভ টু আপিল চলমান, এরপরও রায়ের দিন ধার্য হয়েছে। কোনো সাক্ষীই সুনির্দিষ্টভাবে অভিযুক্ত আসামিরাই যে বোমাবাজি, গুলি করেছে তা বলেননি। রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রায় হলে অবশ্যই আসামিরা খালাস পাবেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী গোলাম হাসনায়েন, আখতারুজ্জামান মুক্তা, ওবায়দুল হক প্রমুখ। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট নুরল ইসলাম গ্যাদা, মাসুদ খন্দকার, সনৎ কুমার প্রমুখ।

তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দলীয় কর্মসূচিতে ট্রেনবহর নিয়ে রেলপথে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। পথে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশনে তাকে বহনকারী ট্রেনটি যাত্রাবিরতি করলে অতর্কিত শেখ হাসিনার কামরা লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় দলীয় কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করে শেখ হাসিনা দ্রুত ঈশ্বরদী ত্যাগ করেন। পরে ওই দিনই ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার ওসি নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে তৎকালীন ছাত্রদল নেতা ও বর্তমানে ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টুসহ সাতজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর মামলাটি তদন্ত শেষে ঈশ্বরদীর শীর্ষস্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ ৫২ জনকে এই মামলার আসামি করা হয়।

মামলাটি দায়ের করার বছরে এই মামলায় পুলিশ কোনো সাক্ষী না পেয়ে আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্টও দাখিল করে। কিন্তু আদালত সে রিপোর্ট গ্রহণ না করে অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডিতে পাঠান। পরে সিআইডি তদন্ত করে আদালতে ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল চার্জশিট দাখিল করে।

 
Electronic Paper