বাকি টাকা পায়নি রাসেল, যোগাযোগও রাখেনি গ্রীনলাইন কর্তৃপক্ষ
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ২:৪৪ অপরাহ্ণ, মে ২২, ২০১৯
বাকি ৪৫ লাখের মধ্যে এক টাকাও পায়নি পা হারানো রাসেল সরকার। রাসেল সরকার বা তার আইনজীবীর সঙ্গেও যোগাযোগ করেনি গ্রীনলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষ। এমনকি গত ২০ মে থেকে গ্রীনলাইন কর্তৃপক্ষের আইনজীবীর সঙ্গেও যোগাযোগ নেই পরিবহনটির কর্তৃপক্ষের। তাই গ্রীনলাইনের আইনজীবী তার ওকালতনামা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
পা হারানো রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা আজকের মধ্যে দিতে গ্রীনলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই আদেশ বাস্তবায়নের বিষয়ে আজ বুধবার হাইকোর্টে শুনানির দিন ধার্য ছিল। শুনানিতে গ্রীনলাইনের এমন আচরণের কথা শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আদালত। সঙ্গে সঙ্গে এ বিষয়ে আগামী ২৫ জুন পরবর্তী আদেশের জন্য রেখেছেন।
বুধবার (২২ মে) শুনানি শেষে বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
রাসেল সরকার গণমাধ্যমকে জানান, গত ১৫ মে হাইকোর্টের আদেশের পর কোনো ধরনের যোগাযোগ করেনি গ্রীনলাইন কর্তৃপক্ষ।
রাসেল বলেন, ৫ লাখ টাকা দেয়ার পর বাকি ৪৫ টাকা দেয়ার জন্য আদেশ দিলেও আর কোনো টাকা দেয়নি তারা।
শুনানির শুরুতে গ্রীনলাইনের আইনজীবী মো. ওজিউল্লাহ বলেন, আদালতের সর্বশেষ আদেশের পর গ্রীনলাইন কর্তৃপক্ষ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তাদের আইনজীবী থেকে আমার নাম প্রত্যাহার করতে চাই।
এ সময় পা হারানো রাসেল সরকারের আইনজীবী শামসুল হক রেজা বলেন, আমাদের সঙ্গেও কোনো যোগাযোগ করছে না গ্রীনলাইন কর্তৃপক্ষ।
আদালত বলেন, আমরা অনেক নমনীয়ভাবে কথা বলেছি, গ্রীনলাইন কর্তৃপক্ষ কখনও বলে নাই যে আমাদের এই সমস্যা, আমরা এত টাকা দিতে পারব না। আবার রাসেলের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টা মীমাংসা করারও চেষ্টা করেনি।
আদালত বলেন, যারা ব্যবসা করে তাদের মানবিক মূল্যবোধ থাকা উচিত। কিন্তু এ ক্ষেত্রে গ্রীনলাইন কর্তৃপক্ষের আচরণ আমাদের কাছে ভালো লাগেনি। তারপরও তাদের অনুপস্থিতিতে আমরা আজ আদেশ দিতে চাই না। প্রয়োজনে রুল শুনানির পর যা করার দরকার তাই করব।
আদালত গ্রীনলাইনের আইনজীবী মো. ওজিউল্লাকে বলেন, আপনি যেহেতু এখন পর্যন্ত তাদের আইনজীবী আছেন, আপনি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। আমরা অবকাশকালীন ছুটির পর এই মামলার পরবর্তী আদেশের জন্য রাখছি।
এরপর আদালত পরবর্তী আদেশের জন্য ২৫ জুন দিন নির্ধারণ করেন এবং এই সময়ের মধ্যে বাকি ৪৫ লাখ টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেন।