ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে অভিজিৎ হত্যা মামলা বদলি

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৩:০২ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৫, ২০১৯

লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে জিয়াসহ মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে আনিত পূর্বঘোসিত অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছিলো তা বিচারের জন্য আদালত বদলের আদেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর হাকিম। আজ (সোমবার) ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারী চার্জশিটটি বিচারের জন্য সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে বদলি করেন।

 

এর আগে ১৩ মার্চ ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারীর আদালতে এই চার্জশিটটি দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম। মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে ৩৪ জনকে।

মেজর জিয়া ছাড়া অপর আসামিরা হলেন- মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, আকরাম হোসেন ওরফে আবির, মো. মুকুল রানা ওরফে শরিফুল ইসলাম ওরফে হাদী, মো. আরাফাত রহমান, শফিউর রহমান ফারাবি। এছাড়াও জিয়া ও আকরাম হোসেন পলাতক রয়েছেন।

আসামিদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ
আসামি মোজাম্মেল হুসাইন, আকরাম হোসেন, হাসান ও আবু সিদ্দিক হত্যাকাণ্ডের দুই মাস আগে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের ১৯২/২ নম্বর বাসাটি ভাড়া নিয়ে অভিজিত রায়কে বিভিন্ন স্থানে অনুসরণসহ হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়ন করেন। আসামি মোজাম্মেল রেকি টিমের নেতৃত্ব প্রদান করাসহ অপারেশন শাখার মকুল রানাকে অনুসরণসহ এ হত্যাকাণ্ডের সার্বিক সহযোগিতা এবং আসামিদের পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন।

অপরদিকে আসামি আবু বকর, আকরাম ও হাসান ব্লগার অভিজিৎ রায়কে হত্যার অভিপ্রায়ে অনুসরণ এবং রেকি করাসহ হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণকারী আসামিদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন।

আসামি আরাফাত রহমান, আলী ওরফে খলিল, অনিক ও অন্তু আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের অপারেশন শাখার সদস্য সাংগঠনিকভাবে তাদের দায়িত্ব ছিল টার্গেট ব্যক্তিকে হত্যা করা। সেমতে অভিজিতকে তারা চারজনই মিলে চাপাতি দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।

পাশাপাশি অভিজিৎ রায়ের স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তাকেও কুপিয়ে বাম হাতের বৃদ্ধা আঙুল কেটে ফেলে এবং মারাত্মক আহত করে।

অপারেশন শাখার চারজন আসামি যাতে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে নিরাপদে পালিয়ে যেতে পারে তার জন্য তাদের চারপাশে আসামি মেজর জিয়া, সেলিম, মুকুল রানা, মোজাম্মেল, আবু সিদ্দিক, আকরাম ও হাসান অভিজিৎ রায়কে কোপানোর সময় কর্ডন করে রাখে।

অভিজিৎ হত্যকাণ্ডের প্রায় দুই মাস পর আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখা (একিউআইএস) এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে বলে খবর দেয় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। তবে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দাবি করে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আন্তর্জাতিক কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর সংশ্লিষ্টতা নেই।

 
Electronic Paper