ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

এএসপি মিজান হত্যার চার্জশিট দাখিল

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৩:৫২ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৪, ২০১৯

সাভার সার্কেলের সাবেক সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মিজানুর রহমান তালুকদার হত্যা মামলায় দুইজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। আজ রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (পশ্চিম) ইন্সপেক্টর সিরাজুল ইসলাম ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভুঁইয়ার আদালতে এ চার্জশিট জমা দেন।

এ মামলায় পলাতক আসামি ফারুক হাওলাদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি পূর্বক আগামী ২৫ এপ্রিল এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পরবর্তি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রূপনগর থানা আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) পুলিশের উপ-পরিদর্শক আলতাফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এ মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন, শাহ আলম ও ফারুক হাওলাদার। শাহ আলম গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। আর ফারুক পলাতক রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। এছাড়াও জাকির হোসেন ও এনামুল হক নামের দুই অভিযুক্ত আসামী মারা যাওয়া তাদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এই দুজন আসামি গত ২৬ জুলাই পালাতে গিয়ে ডিবি পুলিশের গুলিতে নিহত হন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, পুলিশের দাবি, এএসপি মিজানুর রহমান তালুকদারকে চার ছিনতাইকারী মিলে হত্যা করে। আসামি ‘মিন্টু, কামাল ওরফে ফারুক, জাকির ও শাহ আলম ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ২০১৭ সালের ২১ জুন ফজরের আজানের পর উত্তরার তিন নম্বর সেক্টরে একটি মসজিদের পাশে প্রাইভেটকারে যাত্রীবেশে বসে ছিল। এএসপি মিজানুর রহমান সে সময় ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন ছিনতাইকারীরা তাকে গাড়িতে তুলে নেয়।

মিজানুর রহমান গাড়িতে ওঠার পর ফারুক বুঝতে পারে তিনি সরকারি সংস্থার লোক। এ অবস্থায় তারা গাড়িতে জোরে গান ছেড়ে ও লাইট বন্ধ করে গাড়ি চালিয়ে যায়। জসীম উদ্দিন রোড হয়ে প্রথমে হাউজ বিল্ডিং ও পরে উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের দিকে যায়। গাড়ির পেছনের সিটে বসা মিন্টু এক পর্যায়ে এএসপি মিজানের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। পেছনের সিটে বসা ফারুক ও মিন্টুও এএসপি মিজানের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করছিল। এ সময় একজন গাড়িতে থাকা ঝুট কাপড়ের ফিতা দিয়ে মিজানের গলা পেঁচিয়ে ধরে থাকে। কিছুক্ষণ পর মিজানুর নিস্তেজ হয়ে পড়েন এবং তার সাড়া-শব্দ না পেয়ে ছিনতাইকারীরা ভয় পেয়ে যায়। পুলিশের ভয়ে তারা ১০ নম্বর সেক্টর থেকে গলি পথ ধরে বেড়িবাঁধ এলাকায় মিজানের লাশ ফেলে পালিয়ে যায়।

২০১৭ সালের ২১ জুন রাজধানীর রূপনগর থানার মিরপুর বেড়িবাঁধের রাস্তার পাশ থেকে এএসপি মিজানুর রহমান তালুকদারের লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই দিন রাতেই নিহতের ছোট ভাই মাসুম তালুকদার রূপনগর থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

 
Electronic Paper