ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

খালেদার নাইকো দুর্নীতি মামলা : চার্জ শুনানি পিছিয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৪:২৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৯, ২০১৯

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে নাইকো দুর্নীতি মামলার চার্জ শুনানি সময়ের আবেদনের কারণে আবারো পিছিয়ে ১ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান নতুন এ দিন ধার্য করেন। দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে হুইলচেয়ারে করে আদালতে হাজির করা হয় খালেদা জিয়াকে।

খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবীরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় সময়ের আবেদন করলে আদালত তা শেষবারের মতো মঞ্জুর করে নতুন এ তারিখ ধার্য করেন।

খালেদা জিয়া আইনজীবী এ জি মোহাম্মদ আলী কাছে জানতে চান মামলায় দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করেছি কিনা?
গত ২০ ফেব্রুয়ারি বুধবার অসুস্থতার কারণে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে পারেননি বলে তার আইজীবীরা জানান, কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ বলেছিল তিনি ঘুম থেকে ওঠেননি বলে তাকে আদালতে হাজির করতে পারেনি।

খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হয়ে তার পক্ষের আইনজীবীদের জানান, গত ২০ ফেব্রুয়ারি আদালতে আসার জন্য তিনি তৈরি ছিলেন কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ তাকে নিয়ে আসেনি।

সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলামের পক্ষে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে চার্জ শুনানি শেষ করেন। খালেদা জিয়া ছাড়া সব আসামির পক্ষে চার্জ শুনানি শেষ হয় ৩ মার্চ।

এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে হুইলচেয়ারে করে আদালতে হাজির করা হয়। সেদিন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিবরণ দিয়ে চিকিৎসার জন্য আবেদন করেন তার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার।

ওইদিন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও শহীদুল ইসলামের চার্জ শুনানি শেষ না হওয়ায় পরবর্তী শুনানির জন্য ২০ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।

গত ৩ জানুয়ারি নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানিতে এসে বিচারককে আদালতের বিষয়ে অসন্তোষ জানিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

নাইকো দুর্নীতি মামলার অপর আসামিরা হলেন- সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন।

এ মামলায় পলাতক রয়েছেন আরও তিন আসামি। তারা হলেন- সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহা-ব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

মামলার ১১ আসামির মধ্যে সাবেক সচিব শফিউর রহমান ২০১৮ বছরের ৫ মে মারা যাওয়ায় বর্তমানে আসামি সংখ্যা ১০ জন।

দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।

দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান ২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ এনে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় যথাক্রমে ১০ ও সাত বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন খালেদা জিয়া।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার পর পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে খালেদা জিয়া বন্দি রয়েছেন।

 
Electronic Paper