আদালতে যেতে রাজি নয় খালেদা
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১২:০২ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৩, ২০১৯
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে যেতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন। মামলার আসামি খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির না করায় কাস্টডি পাঠায় কারা কর্তৃপক্ষ। সিনিয়র জেল সুপার স্বাক্ষরিত কাস্টডিতে লেখা হয়, ‘সংশ্লিষ্ট বন্দী বিজ্ঞ আদালতে যেতে অনিচ্ছুক।’
এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ তালুকদার জানান, আমরা মামলাটির সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র পাইনি। কাগজপত্র চেয়ে আবেদন করেছি। অপরদিকে মামলার আসামি খালেদা জিয়া ও আমিনুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করছি।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি দিন ধার্য ছিলো আজ বুধবার (১৩ মার্চ)। পূর্বনির্ধারিত আদেশ অনু্যায়ী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হাজির হবার কথা ছিলো। পুরানো ঢাকার বকশী বাজারে অবস্থিত ২ নং বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এ এইচ এম রুহুল ইমরানের অধীনে এ মামলার বিচার কার্যক্রম চলছে।
এর আগে ২৬ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট দিয়েছেন। একইসঙ্গে অন্য আসামিদেরও আদালতে হাজির থাকারও নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান (মৃত), সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (মৃত), সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী (মৃত), সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মো. মুজাহিদ (মৃত), ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম কে আনোয়ার (মৃত), এম শামসুল ইসলাম (মৃত), আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, এ কে এম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এস আর ওসমানী, সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, বড় পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও খনির কাজ পাওয়া কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে কয়লা উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি ও আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় এই মামলা করা হয়। ওই বছরের ৫ অক্টোবর ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।