ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ফের নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানি পেছালো

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১:২০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯

নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানি আবারও পেছানো হল। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতির কারণে এই মামলার শুনানি পিছিয়ে আগামী ৩ মার্চ পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টায় রাজধানীর পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এদিন অসুস্থতার কারণে মামলার অন্যতম আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে পারেন নি বলে জানা গেছে।

এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি কারাগার থেকে হুইল চেয়ারে করে আদালতে হাজির করা হয় খালেদা জিয়াকে। সেদিন বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিবরণ দিয়ে তার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার তার চিকিৎসার জন্য আবেদন করেন।

সেদিন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও শহীদুল ইসলামের চার্জ শুনানি শেষ না হওয়ায় পরবর্তী শুনানির জন্য আদালত ২০ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেন।

তারও আগে গত ৩ জানুয়ারি নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানিতে এসে বিচারককে আদালতের বিষয়ে অসন্তোষ জানিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

এ বছর জানুয়ারিতে তিন দিন এবং এ মাসে দুদিন খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

নাইকো দুর্নীতি মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে মামলাটি করেন তেজগাঁও থানায়।

মামলার পরের বছর ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল হয়। পরে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

এ মামলায় অভিযুক্ত বাকি আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামালউদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সাংসদ এমএএইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

উল্লেখ্য, চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুর্নীতি মামলায় যথাক্রমে ১০ ও সাত বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন বেগম জিয়া। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার পর বর্তমানে খালেদা জিয়া পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

 
Electronic Paper