ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

১৩শ’ পোশাক শ্রমিকের বিরুদ্ধে ৮ মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৪:৫০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৬, ২০১৯

দীর্ঘ ৭ দিনের টানা শ্রমিক আন্দোলনের মাঝে একাধিক কারখানা ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে প্রায় ১৩শ’ শ্রমিকের নামে মোট ৮ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাভার থানায় ২টি ও আশুলিয়া থানায় ৬টি মামলা দায়ের করেছে মালিক কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, এসব মামলায় এখন পর্যন্ত সাভার ও আশুলিয়ায় ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৯ জানুয়ারি আশুলিয়া মেট্রো নিটিং অ্যান্ড ডাইং মিলস লিমিটেড ফ্যাক্টরি-২ এর নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. আ. সালাম বাদী হয়ে ভাঙচুর ও চুরি করে ২৮-২৯ লাখ টাকার ক্ষতির অভিযোগে ৫৫ জন শ্রমিকের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ২০০-৩০০ জন ব্যাক্তির বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। এছাড়া ১১ জানুয়ারি আশুলিয়ার নীট এশিয়া লি. কারখানার প্রধান ব্যবস্থাপক (অর্থ ও হিসাব) মো. আনোয়ারুল ইসলাম বাদী হয়ে কারখানা ভাঙচুরসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৫০ শ্রমিকের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। একই দিনে অরবিট অ্যাপারেলস লি. এর পক্ষে মো. শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে বেআইনিভাবে কারখানায় প্রবেশ করে ভাঙচুর ও চুরির অভিযোগে অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। ওইদিনই আশুলিার এ.আর জিন্স প্রোডিউসার লি. এর এইচআর এডমিন মো. শাহ আজিজ কারখানা ভাঙচুর ও মেশিনারিজ চুরির অভিযোগে ৬২ জন শ্রমিকের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২৫০ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই দিনই মাহমুদ ফ্যাশন লি. এর সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মো. শাহ-আলম বাদী হয়ে ২৯ জন শ্রমিকের নাম উল্লেখ করে ও আরও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত করে একটি মামলা দায়ের করেন।

এদিকে ১২ জানুয়ারি হামিম গ্রুপের সিকিউরিটি গার্ড মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ২ কোটি টাকার ক্ষতির অভিযোগ এনে অজ্ঞাত ৫০-৬০ বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার ওসি তদন্ত জাবেদ মাসুদ বলেন, ‘শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনায় কারখানা ভাঙচুর ও লুটপাটসহ আশুলিয়া থানায় এখন পর্যন্ত ৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামাসহ ৮৮১ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও এখন পর্যন্ত আশুলিয়া থানায় প্রায় ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে।’

অন্যদিকে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনায় দুটি পোশাক কারখানা কর্তৃপক্ষ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৪০০ জন অজ্ঞাতনামাসহ মোট ৪১৮ জন শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

 

 
Electronic Paper