ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

খালেদাকে হাজির করতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১০, ২০১৯

গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করার জন্য প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু সৈয়দ দিলদার এ ওয়ারেন্ট জারি করেন।

বৃহস্পতিবার এ মামলার অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল। তবে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা সময়ের আবেদন করেন। অপরদিকে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল সময় আবেদনের বিরোধীতা করেন।

তিনি বলেন, মামলাটি ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন। তাই লম্বা সময় না দিয়ে স্বল্প সময়ের মধ্যে মামলাটির চার্জ গঠন করা হোক। একই সঙ্গে খালেদা জিয়া কারাগারে থাকায় তাকে আদালতে হাজির করার জন্য প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারির আবেদন করেন তিনি।

আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে খালেদাকে কারাগার থেকে আদালতে জারি করার জন্য প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করেন এবং মামলাটির চার্জ গঠনের জন্য আগামী ১৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।

২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী সাবেক চার দলীয় জোট সরকারের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় এ মামলা করেন। মামলার পরদিন খালেদা জিয়া ও কোকোকে গ্রেফতার করা হয়।

ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয় জরুরি ক্ষমতা আইনে। পরের বছর ১৩ মে খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয়া হয়।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোকে ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পাইয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার ক্ষতি করেছেন।

দুদক আইনে গ্যাটকো মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৮ সালে আরেকটি রিট আবেদন করেন খালেদা জিয়া। তার আবেদনে হাইকোর্ট আবারও মামলার কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ দেন এবং মামলাটি কেন বাতিলের নির্দেশ দেয়া হবে না -এ মর্মে রুল জারি করেন।

মামলার ২৪ আসামির মধ্যে ছয়জন মারা গেছেন। তারা হলেন- সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আব্দুল মান্নান ভূইয়া, এমকে আনোয়ার, জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, বন্দরের প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা আহমেদ আবুল কাশেম ও বিএনপি চেয়ারপারসনের ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো।

অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপি দলীয় সাবেক মন্ত্রী এম শামছুল ইসলাম, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, প্রয়াত মন্ত্রী কর্নেল আকবর হোসেনের (অব.) স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন এবং একেএম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, সাবেক নৌ সচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সাবেক সদস্য একে রশিদ উদ্দিন আহমেদ এবং গ্লোবাল এগ্রোট্রেড প্রাইভেট লি. (গ্যাটকো) এর পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, গ্লোবাল এগ্রোট্রেড প্রাইভেট লিমিটেড (গ্যাটকো) এর পরিচালক সৈয়দ তানভির আহমেদ ও সৈয়দ গালিব আহমেদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান এএসএম শাহাদত হোসেন, বন্দরের সাবেক পরিচালক (পরিবহন) এএম সানোয়ার হোসেন, ও বন্দরের সাবেক সদস্য লুৎফুল কবীর।

 
Electronic Paper