আবার পেছালো পিকে হালদারের শুনানি
অনলাইন ডেস্ক
🕐 ৫:৩২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৭, ২০২৩
কলকাতার আদালত আবার পিকে হালদারের মামলার শুনানি পিছিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত পিকে হালদার ওরফে প্রশান্ত কুমার হালদারকে ২০২২ সালে আটক করে কলকাতা পুলিশ।
৮১ দিন বিচার বিভাগীয় হেফাজতে থাকার পর শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে অভিযুক্তদের কলকাতার আদালতে হাজির করা হয়। বহুল আলোচিত পিকে হালদারের মামলার শুনানি ছিল আদালতের স্পেশাল সিবিআই কোর্ট-৩ এর বিচারক শুভেন্দু সাহার এজলাসে। কিন্তু আদালতের এক কর্মীর মৃত্যুতে এদিন আদালতে কর্মবিরতি পালন করা হয়।
ফলে এই মামলার তদন্তকারী সংস্থা ‘এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট’ (ইডি) ও অভিযুক্তের আইনজীবীদের কেউই আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। ফলে, বিচারক আগামী ১২ ডিসেম্বর পরবর্তী হাজিরার দিন ধার্য করেন। এ সময় কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন পিকে হালদার, তার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারসহ অন্য অভিযুক্তরা।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের রাজারহাট থেকে পিকে হালদারকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর আরও বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে তার আরও ৫ সহযোগীকেও গ্রেফতার করা হয়। পরে ওই বছরের ২১ মে ‘অর্থ পাচার সংক্রান্ত আইন-২০০২’ (PMLA)-এ তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
গ্রেফতার হওয়ার পরেই আদালতের তরফ থেকে তাকে দুই দফায় মোট ১৩ দিন পুলিশ রিমান্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর থেকে কয়েক দফায় বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন অভিযুক্তরা। সে ক্ষেত্রে পিকে হালদারসহ ৫ পুরুষ অভিযুক্ত রয়েছে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কারাগারে। অন্যদিকে একমাত্র নারী অভিযুক্ত রয়েছেন আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে।
ইতোমধ্যেই মায়ের অসুস্থতার কারণে পিকে হালদার জামিনের আবেদন করলেও সে জামিন খারিজ হয়ে গেছে আদালতে। অন্যদিকে, নিজের শারীরিক অসুস্থতার কারণে জামিন চেয়েও তা খারিজ হয় নারী অভিযুক্ত আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারেরও। ঠিক একইভাবে বিভিন্ন সময় আদালতে খারিজ হয়ে যায় প্রাণেশ হালদারসহ বাকিদের জামিনের আবেদনও।