ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩ | ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ভুয়া স্বাক্ষী দিতে এসে দুইজন কারাগারে

মোঃ ফারুক আহম্মেদ মোল্লা, শরীয়তপুর
🕐 ৭:৫৯ অপরাহ্ণ, মে ১৭, ২০২৩

ভুয়া স্বাক্ষী দিতে এসে দুইজন কারাগারে

শরীয়তপুরের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে স্বাক্ষী দিতে এসে আটক হয়েছেন ২ ভুয়া স্বাক্ষী। বুধবার (১৭ মে) দুপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সালেহুজ্জামানের এজলাসে একটি সি. আর মামলার স্বাক্ষী সেজে স্বাক্ষ্য দেওয়ার সময় বিচারকের সামনে আসামী পক্ষের কৌশলী রাশেদ শিকদারের জেরায় ধরা পড়েন তারা।

 

ভুয়া স্বাক্ষীরা হলেন, নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গামানিক এলাকার হোসেন খানের ছেলে কালাম খান ও একই এলাকার কানু সরদারের মেয়ে আছমা বেগম।

চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের পেশকার আব্দুর রহিম ভুয়া স্বাক্ষীদের বিষয়ে বলেন, একটি সি. আর মামলার দরখাস্তে অন্যান্য স্বাক্ষীদের নামের সাথে ডিঙ্গামানিক এলাকার কালু বেপারীর ছেলে পাহাড় বেপারী ও আছমা আক্তার নামে দুইজন স্বাক্ষী ছিলেন। কিন্তু পাহাড় বেপারীর স্বাক্ষী দিতে আসেন হোসেন খানের ছেলে কালাম খান। আদালতে নিজের নাম পাহাড় বেপারী হিসেবে শফথ পাঠ করে কৌশুলীর জেরার মুখে কালাম খান কখনো নিজের নাম তাহের বেপারী, পিতার নাম কালু বেপারী বলে পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু স্বাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করেছেন কালাম নামে। অন্যদিকে একই মামলায় আছমা বেগমের বাবার নাম কানু সরদার হলেও তিনি রিপন হাওলাদারের মেয়ে আছমা বেগম নামে স্বাক্ষী দিয়েছেন। কৌশলীর জেরার সময় কালাম খান ও আছমা বেগম ভুয়া স্বাক্ষী হিসেবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত বাদী হয়ে ১৮৬০ সালের দ-বিধি ১৯৩, ২০৫ ও ৪১৭ ধারায় মামলা দায়ের করে তাদের দুইজনকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. শাহীন সরদার বলেন, মামলার বাদী আমাকে জানায়নি যে কালাম ও আছমা মানিত স্বাক্ষী নন, তারা প্রত্যক্ষদর্শী। তাই মামলার এজহারে উল্লেখিত স্বাক্ষী হিসেবে আদালতে উপস্থাপনা করেছি আমি। তারপর কী ঘটেছে তা সবাই জানেন।

বিবাদী পক্ষের আইনজীবী মো. রাশেদ শিকদার বলেন, আমার মক্কেলকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিতে বাদী ভুয়া স্বাক্ষী নিয়ে এসেছিল। পাহাড় বেপারীর স্থলে কালাম খান এসেছিল স্বাক্ষী দিতে। এছাড়াও অপর স্বাক্ষী আছমা বেগম মামলার বিবাদী দিলু সরদারের আপন বোন হয়ে আদালতকে বলেছেন তিনি বিবাদী দিলু সরদারকে চিনেন না। আদালত ভুয়া স্বাক্ষীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।

ভুয়া স্বাক্ষী ধরা পড়ার বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন শরীয়তপুরের আইনজীবী রাশিদুল হাসান মাসুম বলেন, ভুয়া স্বাক্ষী ধরা পড়ার বিষয়ে আমি জানতে পেরেছি। ভুয়া স্বাক্ষীদের কারণে বিচার প্রার্থীরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হোন। আদালত ভুয়া স্বাক্ষীদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করায় আমি আদালতকে সাধুবাদ জানাই।

 
Electronic Paper