অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ আ.লীগ বিএনপির
ভোটযুদ্ধে প্রস্তুত খুলনা
জামাল হোসেন, খুলনা
🕐 ১০:২৫ অপরাহ্ণ, মে ১৩, ২০১৮
রাত পোহালেই খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। আগামীকাল মঙ্গলবার একই দিনে গাজীপুর সিটি নির্বাচনেরও কথা ছিল। কিন্তু ভোটগ্রহণের মাত্র এক সপ্তাহ আগে আদালতের নির্দেশে স্থগিত হয়ে যায় সে নির্বাচন।
ফলে সারা দেশের চোখ এখন খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিকেই নিবদ্ধ। জাতীয় নির্বাচনের আগে দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিতব্য এ নির্বাচনের গুরুত্ব কেবল খুলনার ভোটারদের কাছেই নয়, সারা দেশের মানুষের আগ্রহের বিষয়ে পরিণত হয়েছে গত কয়েক দিনে। বিশেষ করে বিএনপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু এবং আওয়ামী লীগ প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেকের অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের মধ্য দিয়েও জমে উঠেছে নির্বাচন। এ নির্বাচনে ভোট ডাকাতির সম্ভাবনা দেখছেন মঞ্জু। অপরদিকে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন খালেক।
অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের ভেতর দিয়েই খুলনা সিটির পঞ্চমবারের এ নির্বাচনে কে হারবেন, কে জিতবেন, আর এ নির্বাচনের জয়-পরাজয়ের মধ্য দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের জন্য কী বার্তা উঠে আসছে সেদিকেই নজর রাখছেন বিশ্লেষকরা। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন হওয়া প্রায় ৫৩ হাজার ভোটারসহ প্রায় এক লাখ তরুণ ভোটার কেসিসি নির্বাচনে প্রার্থীদের জয়-পরাজয়ে নিয়ামক ভূমিকা পালন করবে। নির্বাচনের দুই প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক, বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু ছাড়াও মেয়র পদে লড়ছেন কাস্তে প্রতীকে সিপিবির মিজানুর রহমান বাবু, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির এসএম শফিকুর রহমান এবং হাতপাখা নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুজ্জাম্মিল হক। ইতোমধ্যে খুলনা সিটির নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী খোলা কাগজকে বলেন, রোববার রাত ১২টা থেকে সব ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ব্যালট বাক্স, অমোচনীয় কালী এবং সিলসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম আজ দুপুর থেকে ভোট কেন্দ্রে প্রেরণ করা হবে। এছাড়া ভোটের নিরাপত্তায় বিজিবি ও র্যাব-পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট বাহিনীর সদস্যরা মাঠে নেমেছেন। এসবের মধ্য দিয়ে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হবে।
এদিকে প্রার্থীরাও তাদের প্রচার-প্রচারণা, গণসংযোগ শেষ করেছেন। নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী গতকাল রাত ১২টায় শেষ হয়েছে প্রার্থীদের সব ধরনের প্রচারণা। আজ সোমবার থেকে ভোট গ্রহণ পর্যন্ত প্রার্থী বা তার কর্মী-সমর্থকরা কোনো ধরনের প্রচারণা চালাতে পারবেন না। নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের ২৮৯টি ভোট কেন্দ্রের ১ হাজার ৫৬১টি কক্ষে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। নগরীর ২৪নং ওয়ার্ডের সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ২৭নং ওয়ার্ডের পিটিআই কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হবে। আজ দুপুর থেকে ভোট কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট বাক্সসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম প্রেরণ শুরু হবে। প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তারাও প্রস্তুত রয়েছেন ভোটগ্রহণের জন্য। ইতিমধ্যেই কেসিসি নির্বাচনের নিরাপত্তায় রোববার সকাল থেকে নগরীতে ১৬ প্লাটুন বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। টহল দিচ্ছে র্যাব-পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা। পুরো শহর এখন আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে।
অপরদিকে, গতকাল রোববার সর্বশেষ নির্বাচনী প্রচারণায় মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা ভোট প্রার্থনা করেছেন ভোটারদের কাছে। বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে আবারও সেনাবাহিনী নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার এবং দমন-পীড়ন চালিয়ে সরকার কেসিসির ভবিষ্যৎ নগর পিতা নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে। তবে, আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেকের পক্ষে প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী এস এম কামাল হোসেন দাবি করেছেন, খুলনা সিটি নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপির প্রার্থী অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন।
বিজিবির ১৬ প্লাটুন সদস্য মোতায়েন
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের নিরাপত্তায় ১৬ প্লাটুন বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। রোববার সকাল ৮টা থেকে বিজিবি সদস্যরা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় টহলসহ নিরাপত্তার সার্বিক দায়িত্ব পালন শুরু করেছে। বিষয়টি বিজিবি খুলনা সেক্টরের টুআইসি মেজর হান্নান খান নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী ১৬ প্লাটুন অর্থাৎ ৬৪০ জন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবি সদস্যরা টহল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। তারা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নিয়ে নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তার দিকে সতর্ক নজর রাখছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। একই সঙ্গে র্যাব-পুলিশ ও আনসার সদস্যদেরও স্ব স্ব দায়িত্বে নিয়োজিত করা হয়েছে।
মেয়রপ্রার্থীদের শেষ দিনের গণসংযোগ
আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক রোববার প্রচারণার শেষ দিন সকালে নগরীতে গণসংযোগ ও পথসভা করেন। সকাল ৯টায় তিনি দৌলতপুর পাবলা দফাদারপাড়া চানাচুর পট্টিতে শেষ দিনের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। এরপর তিনি সেখানে শ্রমিক-কর্মচারীদের উদ্দেশে পথসভায় বক্তব্য রাখেন। এরপর তিনি দৌলতপুর বেবিস্টান্ডে গণসংযোগ, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি. (ওজোপাডিকো) অফিসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময়, কেডিএ অফিস, কৃষি ব্যাংক ও শিল্প ব্যাংক ভবনে গণসংযোগ ও ভোটারদের সাথে কুশলবিনিময় করেন। বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু শেষ দিনের প্রচারণা চালিয়েছেন নগরীর প্রবেশদ্বার খানজাহান আলী সেতু এলাকায়। এ সময় ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা ভয় পাবেন না। হতাশ হবেন না। সাহসের সাথে পরিস্থিতির মোকাবেলা করুন। দলবদ্ধ হয়ে ভোট কেন্দ্রে যান। ধানের শীষে আপনার ভোট প্রয়োগ করুন। কোন শক্তি নেই জনতার সম্মিলিত ও ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে পরাস্ত করতে পারে। মঞ্জু কোন চাপের কাছে নতি স্বীকার না করে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
বিএনপির আরও ১৯ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
শনিবার রাতে পুলিশ ও ডিবির অভিযানে বিএনপির আরও ১৯ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তাররা হলেন খানজাহান আলী থানা বিএনপির সহ-সভাপতি তোকাচ্ছের আলী হাওলাদার, ২৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র নেতা হেদায়েত হোসেন হেদু, জেলা শ্রমিক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান, ২২নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম, ৩১নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মতিউর রহমান, ২৬নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা মোঃ ডালিম, ১নং ওয়ার্ড শ্রমিক দল সভাপতি বারেক ফরাজি ও ৩নং ওয়ার্ড নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক বেল্লাল হোসেন। মহানগর ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন জিতু, ১৬ নং ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি ইসমাইল হোসেন, ২২ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা খোকন গাজী, ২১ নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা মিলন, ১৭ নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা মুজিবর রহমান, মৎস্যজীবী দল নেতা শহিদুল, মৎস্যজীবী দল নেতা মারুফ, ২৮নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতির ছেলে রনি। এছাড়া ১৯নং ওয়ার্ডে ধানের শীষের লিফলেট বিতরণের সময় গ্রেপ্তার হন শিবিরকর্মী শরিফুল ইসলাম, মাহবুব হোসেন ও রাসেল।
অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ আ.লীগ বিএনপির
আগামীকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিতব্য খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপির দুই প্রার্থীই অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ করে নির্বাচনী পরিস্থিতিকে জমিয়ে তুলেছেন। তবে তাদের অভিযোগগুলো নিয়ে ভোটারদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে প্রকৃত পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টাও করছেন ভোটাররা। এরই মধ্যে বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত করতে, বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে ভীতি তৈরি করতে দফায় দফায় বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। অনেকের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশির নামে হয়রানি করা হচ্ছে। এ নির্বাচনে ভোট ডাকাতির সম্ভাবনা দেখছেন বলেও জানান তিনি। অপরদিকে তালুকদার আব্দুল খালেকের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার কৌশল হিসেবে মঞ্জু অপপ্রচার চালাচ্ছেন। বরং তার নির্বাচনে এক ব্যক্তি ব্যাপক কালো টাকা ব্যবহার করছেন। মঞ্জুর লোকজন ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। গতকাল রোববার সকালে মঞ্জু এবং দুপুরে খালেকের পক্ষে প্রেস ব্রিফিং করে এসব অভিযোগ আনা হয়।
মঞ্জুর প্রেস ব্রিফিং
গতকাল সকাল সাড়ে ৮টায় নগরীর মিয়াপাড়ায় নিজ বাসভবনে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিং করেন নজরুল ইসলাম মঞ্জু। তিনি বলেন, সরকার কেসিসির ভবিষ্যৎ নগর পিতা নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে। কেসিসি নির্বাচন সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের জন্য একটি পরীক্ষা হলেও ইতোমধ্যেই তারা ফেল করেছে। তিনি জনগণকে ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়ে ভীতিমুক্ত ও উৎসবমুখর পরিবেশে নগর পিতা নির্বাচিত করতে সহায়তায় সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান জানান।
তিনি ভোট ডাকাতির আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু সরকার একটি ভোট ডাকাতির নির্বাচনের আয়োজনে সবকিছুই ভেস্তে যেতে বসেছে। এ ক্ষেত্রে পুলিশের অতিউৎসাহী ভূমিকা এবং নির্বাচন কমিশনের নির্লিপ্ততা ভোট ডাকাতির নির্বাচনের আয়োজনকে আরও ত্বরান্বিত করেছে।
নগরীর খালিশপুর, দৌলতপুর, টুটপাড়া, লবণচরা ও বানিয়াখামারসহ বিভিন্ন এলাকায় ভোট ডাকাতির আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই চরমপন্থী-সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীরা এসব এলাকায় মোটরসাইকেল মহড়া দিচ্ছে। আগে থেকেই ব্যালট বাক্স ধরে রাখা, ভোটের আগের রাতে বোমাবাজি করে আতঙ্ক সৃষ্টি এবং নেতাকর্মীদের ওপর আরও কঠিন আঘাতের আশঙ্কা রয়েছে। সরকার বিএনপিকে বাইরে রেখে একদলীয় নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে নজরুল ইসলাম মঞ্জু কেসিসির শতভাগ ভোটকেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ করে বলেন, এখনো সময় আছে ঘুরে দাঁড়ানোর। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে এখনই সব ভোটকেন্দ্রে সেনাবাহিনী এবং প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করুন। একই সঙ্গে তিনি প্রতিটি কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের অবস্থান করে অতদ্রপ্রহরীর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। তিনি জানান, মেয়রপ্রার্থী হিসেবে তিনি নিজেও শঙ্কামুক্ত নন। ৭ দিন ধরে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। গত শনিবার রাতেও হাজার হাজার কর্মীর বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। নির্বাচনী এজেন্ট এবং নির্বাচন পরিচালনা কমিটির দায়িত্বশীল সিনিয়র নেতাদেরও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এতে গোটা নগরীতে আতঙ্ক ও শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তারপরও নগরবাসী ধানের শীষে ভোট প্রদানের মাধ্যমে আওয়ামী দুঃশাসনের জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
খালেকের পক্ষে প্রেস ব্রিফিং
কেসিসি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেকের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী এস এম কামাল হোসেন পাল্টা প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, বিএনপির মেয়রপ্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে শুরু থেকে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন। মঞ্জুর নির্বাচনে একজন ব্যবসায়ী কালো টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। গতকাল দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, বিএনপি প্রার্থী মঞ্জু সাধারণ জনগণকে হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। তিনি আরও বলেন, যারা জামায়াত-বিএনপির সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করা হোক। খুলনার মানুষ তালুকদার আব্দুল খালেকের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। খুলনায় নৌকার গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। নৌকার এ গণজোয়ার দেখে মঞ্জু কেসিসি নির্বাচনে তার পরাজয়ের গ্লানি মেনে না নিতে পাগলের প্রলাপ করছেন। এস এম কামাল বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনী মাঠে নামবে; কি নামবে না, এটা নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার। এ ব্যাপারে সরকারের কোনো হাত নেই।