খুলনায় লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও সড়ক প্রায় জনশুণ্য
খুলনা ব্যুরো
🕐 ৬:৩০ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৪, ২০২১
লকডাউনের দ্বিতীয় দিনের শুরুতে শনিবার (২৪ জুলাই) খুলনার সড়ক-মহাসড়ক ফাঁকা রয়েছে। ব্যস্ততম রাস্তা জনশুণ্য প্রায়। বিভাগীয় শহর খুলনার প্রবেশ দ্বার ও ব্যস্ততম সড়কে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি রয়েছে। মহানগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে জনসাধারণের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিশ।
শনিবার সকাল থেকে শহরের প্রবেশদ্বারগুলোতে চেকপোস্টে সড়কে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে পুলিশের তৎপরতা চোখে পড়ে। এখানে পণ্যবাহী ট্রাক, যৌক্তিক কারণে ব্যক্তিগত গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি সেবার যানবাহন ব্যতীত অন্য কোন পরিবহন শহরে ঢুকতে দেয়া হয়নি।
একই অবস্থা মহানগরীর জিরোপয়েন্ট গল্লামারী এলাকায়। সেখানে চেকপোস্ট বসিয়ে শহরে যানবাহন প্রবেশ বন্ধ করা হচ্ছে। শিববাড়ী কেডিএ এভিনিউ, সোনাডাঙ্গা থানা সংলগ্ন বাইপাস রোড, মজিদ সরণীসহ ব্যস্ততম সড়কে বাঁশ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় অলিগলিতে কয়েকটি ইজিবাইক চলতে দেখা গেলেও মূল সড়কে শুধু রিকশা ও মোটরসাইকেল ছাড়া অন্য কোন গণপরিবহন লক্ষ্য করা যায়নি।
এদিকে, লকডাউনের প্রথম দিন শুক্রবার খুলনা মহানগরীতে বিধি নিষেধ অমান্য করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৩১ জনকে ৩১টি মামলায় ১৭ হাজার ২৫০ জরিমানা করে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
খুলনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশীষ বসাক বলেন, লকডাউনের নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তিনটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। যাদের সঙ্গে রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান বলেন, জেলাব্যাপী লকডাউন কার্যকর করতে জেলা পুলিশ, জেলা প্রশাসক ও স্বাস্থ্য বিভাগ সমন্বিতভাবে কাজ করছি। ‘লকডাউন’ সফল করতে জেলার নয় থানায় ২৯টি চেক পোস্ট বসানো রয়েছে। ৪১টি টহল গাড়ির টিম সমগ্র জেলায় কাজ করছে। বিনা প্রয়োজনে যেন কেউ বের না হন। আর যদি প্রয়োজনে বের হতে হয়, তাহলে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।