বিষয়টি নিশ্চিত করে সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, আমরা ৩২ হাজার ৮০০ ডোজ টিকা গ্রহণ করেছি। একটি ভায়েলে এক ডোজ টিকা আছে। সেগুলো ইপিআই ভবনের আইএলআরে (আইস লাইনড রেফ্রিজারেটর) সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। আগামী ১৯ জুন থেকে এই টিকা দেয়া শুরু হবে।

খুলনার সিভিল সার্জন দপ্তরের সূত্র জানান, এর আগে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি খুলনায় প্রথম ধাপে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১ লাখ ৬৮ হাজার ডোজ টিকা আসে। পরে ৭ এপ্রিল খুলনায় দ্বিতীয় দফায় আরও ১ লাখ ২৫ হাজার ডোজ টিকা আসে। খুলনায় এখন পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা পেয়েছেন ১ লাখ ৭৫ হাজার ৯৫৭ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৪ হাজার ১৩৬ জন এবং নারী ৭১ হাজার ৮২১ জন। কিন্তু খুলনা জেলায় করোনার টিকা ফুরিয়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় টিকাদান কার্যক্রম। প্রথম ডোজ নেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারেননি জেলার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন অনেকে।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এপ্রিলের প্রথম দিন থেকে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়ার সংখ্যা কমতে থাকে। আর ২৬ এপ্রিল প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। তবে তখন দ্বিতীয় ডোজ চলমান থাকে। চলতি মাসের ১২ জুন খুলনায় দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। সেদিন পর্যন্ত খুলনা জেলায় ১ লাখ ২৭ হাজার ৯৭৮ জন অক্সফোর্ডের দ্বিতীয় ডোজের টিকা পেয়েছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৭৮ হাজার ২৮২ জন ও নারী ৪৯ হাজার ৬৯৬ জন। টিকার দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে খুলনার ৪৭ হাজার ৯৭৯ জনকে।

খুলনার সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, দ্বিতীয় ডোজের টিকার বিষয়ে নিশ্চয়ই নির্দেশনা আসবে। সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।