খুলনায় বিধিনিষেধ প্রতিপালনে ২৪ ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে
খুলনা ব্যুরো
🕐 ৬:১৬ অপরাহ্ণ, জুন ১৪, ২০২১
খুলনা জেলা ও মহানগরীতে ১৩ জুন থেকে শুরু হওয়া ৭ দিনের বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২৪ জন ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে নেমেছেন। আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় তারা নগর ও জেলায় আলাদা আলাদা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন।
এদিকে রোববার বিধিনিষেধের প্রথম দিন উপজেলা ও মহানগর মিলিয়ে ৪০ মামলা দায়ের করা হয়। এ সময় ৪৮ জনকে ৭০ হাজার ২৫০ টাকা জরিমানা করা হয়। জেলা প্রশাসন, খুলনার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (মিডিয়া) দেবাশীষ বসাক সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, খুলনার বিভিন্ন উপজেলায় এবং মহানগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালিত হয়। করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণে এই মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। তিনি নিজেসহ মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় নেতৃত্বে ছিলেন জেলা প্রশাসন, খুলনার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইসমাইল হোসেন, আরিফুল ইসলাম, গালিব মাহমুদ পাশা, মোঃ তকী ফয়সাল তালুকদার ও নূরী তাসমিন ঊর্মি এবং উপজেলাসমূহে স্ব স্ব উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশীষ বসাক বলেন, করোনার সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ১১ জুন অনুষ্ঠিত জেলা পর্যায়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও প্রতিরোধসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে জারিকৃত গণবিজ্ঞপ্তির নির্দেশনাসমূহ সঠিকভাবে প্রতিপালিত হচ্ছে কি-না, তা তদারকি করতেই মূলত এই মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় এপিবিএন, বাংলাদেশ আনসার, র্যাব এবং পুলিশের সদস্যগণ সহযোগিতা করেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধকল্পে জেলা প্রশাসন কর্তৃক মোবাইল কোর্টের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ১৩ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত খুলনা জেলা ও মহানগরীতে ৭ দিনের বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। সে মোতাবেক সকাল নয়টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত দোকানপাট, মার্কেট, শপিংমল ও হোটেলসমূহ খোলা থাকবে। তবে মার্কেটের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। ‘স্বাস্থ্যবিধি না মানলে মৃত্যু ঝুঁকি আছে’- এই সতর্কবাণী অবশ্যই দৃশ্যমান স্থানে রাখতে হবে। দোকানসমূহে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং দুই জনের মধ্যে তিন ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। হোটেল-রেস্তোরাগুলো পার্সেলকৃত/প্যাকেটজাত খাবার সরবরাহ করতে পারবে।
বেবি ট্যাক্সি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ সকল ধরনের যানবাহনে অর্ধেকের বেশি যাত্রী বহন করতে পারবে না। যানবাহনের চালকসহ প্রত্যেক যাত্রীদের অবশ্যই মাস্ক পরিধানসহ সকল স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। তবে ওষুধের দোকান সার্বক্ষণিক খোলা রাখা যাবে এবং কেসিসি সন্ধ্যা বাজার ও সোনাডাঙ্গা ট্রাক স্ট্যান্ড সংলগ্ন পাইকারি কাঁচাবাজার রাত নয়টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।