ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

লকডাউনে স্বাভাবিক বেনাপোল বন্দর

শার্শা (যশোর) প্রতিনিধি
🕐 ৯:২৭ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ০৬, ২০২১

লকডাউনে স্বাভাবিক বেনাপোল বন্দর

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া সাতদিনের লকডাউনে স্বাভাবিক রয়েছে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। দুই দেশের মধ্যে শর্ত সাপেক্ষে সচল রয়েছে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত। গতকাল সোমবার সকালে বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার লকডাউনের মধ্যে বাণিজ্য সচল থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়াও বেনাপোল বন্দর থেকে পণ্য খালাস ও দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে পণ্য পরিবহন স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান তিনি। এদিকে বন্দরের কার্যক্রমের পাশাপাশি বেনাপোল কাস্টমসের কার্যক্রমও স্বাভাবিক থাকবে বলে জানিয়েছেন বেনাপোল কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা নাসিদুল হক। সকাল থেকে কাস্টমস হাউসে পণ্য ছাড়ার কাজ করছেন সবাই।

জানা যায়, হঠাৎ করে দেশে করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ায় সরকার ১৮টি নির্দেশনা জারি করে। কিন্তু জনসাধারণের সচেতনতার অভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু। অবশেষে বাধ্য হয়ে সরকার সাতদিনের লকডাউন ঘোষণা করে। এতে গণপরিবহন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের মধ্যে পড়ে। তবে দেশের শিল্প কলকারখানায় উৎপাদন ও সরবরাহ সচল রাখতে আমদানি, রপ্তানি বাণিজ্য ও পণ্য পরিবহন লকডাউনের আওতামুক্ত রাখা হয়।

বেনাপোল ট্রাক ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দীন গাজী জানান, লকডাউনের মধ্যে বন্দর থেকে পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে অন্যান্য সময়ের মতো চালকরা মালামাল বহন করছেন। বন্দরে চলাফেরার সময় চালকদের বিশেষ করে মাস্ক ও ডিপো ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বেনাপোল বন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কলিমউদ্দীন বলেন, সব সংকট মুহূর্তে বন্দর সচল রাখতে শ্রমিকরা ঝুঁকি নিয়ে পণ্য খালাসের কাজ করে আসছে।

লকডাউনের মধ্যেও শ্রমিকরা সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে পণ্য খালাস করছেন। বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক বলেন, গত বছরে করোনার সময় আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়েছিলেন। প্রয়োজনীয় কাঁচামালের অভাবে শিল্প কলকারখানা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। তবে এবার লকডাউনের মধ্যে বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম সচল রয়েছে। করোনাকে ভয় নয়, সরকারি নির্দেশনা মেনে সচেতনতা বাড়িয়ে আমাদের পথ চলতে হবে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, লকডাউনের মধ্যে এ পথে শর্ত সাপেক্ষে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করছেন। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় যাত্রীর সংখ্যা অন্যান্য দিনের তুলনায় কম। বর্তমানে মেডিকেল, বিজনেস ও কূটনৈতিক ভিসায় যাতায়াত করছেন যাত্রীরা। ট্যুরিস্ট ভিসা এখন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে।

তিনি আরও জানান, বর্তমানে ভারত ভ্রমণে করোনা নেগেটিভ সনদ প্রয়োজন হচ্ছে। এ ছাড়াও ২০২০ সালের ১ জুলাইয়ের পর ইস্যুকৃত ভিসা প্রয়োজন হবে। ভারতীয় পাসপোর্টধারীদের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা।

 

 
Electronic Paper