ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

যশোরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে দেখা যাচ্ছে না

বিএম ফারুক, যশোর
🕐 ১০:৩৩ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ০৪, ২০২১

যশোরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে দেখা যাচ্ছে না

দেশে করোনা সংক্রমণ আশঙ্কাজনকহারে বেড়ে চললেও প্রতিরোধে যশোরে মানুষজনকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে না। তারা মাস্ক ব্যবহারও করছেন না। শপিংমলগুলোর প্রবেশমুখে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীসহ প্রহরীর ব্যবস্থা থাকলেও তাদের দেখা মিলছে না। অন্যদিকে পার্ক, রেস্টুরেন্ট, যানবাহনে গাদাগাদি করে লোক সমাগম ঘটছে। যশোরে ক্রমেই বাড়ছে করোনার সংক্রমণ ও ঝুঁকি।

তবে করোনা বেড়ে চললেও মাস্কের ব্যবহার কমেছে যশোরে। মাস্ক ব্যবহার করছেন না অধিকাংশ পথচারী ও বিভিন্ন কাজে বাইরে আসা শহরবাসী। অন্যদিকে শহরের বড় বড় বিপণি বিতানগুলোতে নেই স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা। ছোট ছোট দোকানে ক্রেতা বিক্রেতা কেউই মাস্ক ব্যবহার করছেন না। এসব দোকানে নেই স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীও।

পার্কের প্রবেশমুখে সামাজিক দূরত্ব মানছে না কেউ। মাস্ক ছাড়াই ঠেলাঠেলি করে পার্কে ঢুকছেন বিনোদনপ্রেমীরা। রেস্টুরেন্টে পাশাপাশি বসেই চলছে আড্ডা ও খাবার পরিবেশন। দূরপাল্লার বাস, লোকাল বাস, নছিমন, করিমন, ইজিবাইকে নিয়ম মানা হচ্ছে না। গাদাগাদি করে এসব বাহনে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে মাস্ক ছাড়াই পথ চলছেন মানুষ।

এ জাতীয় অসচেতনতার কারণে যশোরে দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস। নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ খানিকটা কম থাকলেও বর্তমানে যশোরে সংক্রমণ বাড়ছে আশঙ্কাজনকহারে। এক্ষেত্রে মানুষের অসচেতনতাকেই দায়ী করলেন বিশিষ্টজনরা। তবে করোনা প্রতিরোধে যশোর পৌরসভা ও জেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে যশোর পৌরসভার সচিব আজমল হোসেন বলেন, সচেতনতা তৈরিতে আমরা ইতিমধ্যে মাইকিং শুরু করেছি। পৌরসভা কার্যালয়ে কেউ মাস্ক পরে না আসলে সেবা পাবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া রোববার থেকে আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, করোনা প্রতিরোধে আমরা ব্যবসায়ী ও ইমামদের সঙ্গে সভা করেছি। ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করবেন। মার্কেটে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়কেই মাস্ক পরতে হবে। মসজিদে যাতে কেউ মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য ইমামদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

করোনার প্রাদুর্ভাব মাঝে কিছুটা কমে যাওয়ায় স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি শিথিল হয়ে পড়ে। তবে আমরা আবারও এ ব্যাপারে মনিটরিং করছি। ইতিমধ্যে মোবাইল কোর্টও চালু করা হয়েছে।

 
Electronic Paper