দৌরাত্ম্য বেড়েছে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের
মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
🕐 ৫:৩৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ০৬, ২০২১
যশোরের মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্য দিন দিন বেড়েই চলেছে। হাসপাতালে প্রবেশ নিষেধ থাকলেও তারা তা মানছেন না। ডাক্তার দেখিয়ে ব্যবস্থাপত্র হাতে বেরিয়ে আসতেই তাদের কবলে পড়তে হয় রোগীদের। রোগীরা কোম্পানির প্রতিনিধিদের দ্বারা হয়রানির শিকার হলেও নীরব ভূমিকা পালন করছে কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিন গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে মণিরামপুর হাসপাতালের বহির্বিভাগে ৫/৭ জন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের দেখা মেলে। রোগীরা ব্যবস্থাপত্র হাতে হাসপাতালের ফার্মেসির সামনে ওষুধ নিতে আসতেই তাদের ঘিরে ধরেন কোম্পানির লোক। তারা ব্যবস্থাপত্র কেড়ে নিয়ে ছবি তুলছেন। সাংবাদিক পরিচয়ে কথা বলতে চাইলে তাদের একজন পরিচয় না দিয়ে জানান, কোম্পানির পক্ষ থেকে অডিট চলছে। তাই তারা হাসপাতালে এসেছেন। বিষয়টি হাসপাতাল প্রধানকে জানানো হয়। পরে তিনি লোক পাঠালেও কাউকে পাওয়া যায়নি।
এর আগেও ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের একই কাজ করতে দেখা গেছে। সাংবাদিকরা বিষয়টি নজরে আনলে তৎপর হন কর্তৃপক্ষ। এরপর আবারও সেই পুরনো চিত্র দেখা যায়।
হাসপাতালের একটি সূত্র মতে, শুধু দিনে নয় রাতেও কোম্পানির লোকজন হাসপাতাল ছাড়েন না। ডাক্তারদের কক্ষে বসে থাকেন তারা। বিভিন্ন উপঢৌকনের মাধ্যমে তারা ডাক্তারদের নিজের কবজায় আনেন। পরে রোগী আসতেই নিজের কোম্পানির ওষুধ লিখিয়ে নেন।
মণিরামপুর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. অনুপ বসু বলেন, করোনার আগ থেকেই ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের হাসপাতাল ভিজিট বন্ধ। তাদের হাসপাতালে ঢুকতে নিষেধ করা আছে। গতকাল শনিবার সকালে টিএইচও ম্যাডাম আর আমি চারজনকে তাড়িয়েছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. শুভ্রারানী দেবনাথ বলেন, ওষুধ কোম্পানির লোকদের রোববার ও বুধবার দুপুর একটার পর একদিন করে ডাক্তার ভিজিটের সুযোগ দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, ওষুধ কোম্পানির লোকজন যেন হাসপাতালে আর ঢুকতে না পারেন সে ব্যাপারে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।