কেশবপুর পৌরসভা
হলফনামায় যা আছে তিন মেয়র প্রার্থীর
যশোর প্রতিনিধি
🕐 ৪:৫০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১
যশোরের কেশবপুর পৌরসভা নির্বাচনে তিন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে দুইজন ব্যবসায়ী ও একজন মুহতামীম। যা তাদের আয়ের উৎস। নির্বাচনী হলফনামা থেকে এমন তথ্যই মিলেছে।
নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে বর্তমান মেয়র ও পৌর আ.লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুস সামাদ বিশ্বাস এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আব্দুল কাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বর্তমান মেয়র রফিকুল ইসলামের আয়ের উৎস ব্যবসা বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এমবিএস (ব্যবস্থাপনা)। তার নামে কোনো মামলা নেই। নগদ দুই লাখ টাকা ছাড়াও তার নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ৯৩ হাজার ৭৯৫ টাকা ও স্ত্রীর নামে ২৩ হাজার টাকা। স্ত্রীর নামে ডিপিএস আছে তিন লাখ ৪৯ হাজার ৮২৭ টাকা ও পোস্টালে ছয় লাখ টাকা।
হলফনামায় তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, নিজের সোনা ও রূপার আংটি, স্ত্রীর হাতের বালা, কানের দুল, গলার চেন ও আংটি রয়েছে। কৃষি জমি ৬০ শতক ও অকৃষি ১৪ শতক। পাকা বাড়ি একটি ও পরিত্যক্ত একটি। মৎস্য খামার আছে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকার।
হলফনামায় সাবেক মেয়র আব্দুস সামাদ বিশ্বাস আয়ের উৎস বলেছেন ব্যবসা। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি। তার নামে একটি মামলা চলমান। তিনি সম্পদের বিবরণে উল্লেখ করেছেন, তার কাছে নগদ এক লাখ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে চার লাখ টাকা। রয়েছে একটি হোন্ডা মোটরসাইকেল। স্ত্রীর নামে ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ৬০ শতক কৃষি জমি, ৩০ শতক অকৃষি জমি, স্ত্রীর নামে ১০ শতক জমি এবং একটি বাড়ি আছে।
অপর মেয়র প্রার্থী আব্দুল কাদেরের আয়ের উৎস মুহতামিম। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা দাওয়ার হাদীস। তার নামেও কোনো মামলা নেই। সম্পদের বিবরণে উল্লেখ করেছেন নগদ আছে তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা। আছে পাঁচ ভরি সোনা, ৭৫ হাজার টাকার ইলেকট্রিক সামগ্রী, এক লাখ টাকার আসবাবপত্র এবং চার শতক অকৃষি জমি।