ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মণিরামপুর-কুলটিয়া সড়ক

দুই বছরেও শেষ হয়নি সংস্কারের কাজ

আনোয়ার হোসেন, মণিরামপুর
🕐 ৬:৫৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৫, ২০২১

দুই বছরেও শেষ হয়নি সংস্কারের কাজ

যশোরের মণিরামপুর বাজার-কুলটিয়া সড়কটির সংস্কার কাজ দুই বছর আগে শুরু হলেও এখনো শেষ হয়নি। ইটের খোয়া দেওয়ার পর পিচ না দিয়ে কাজ ফেলে রেখেছেন ঠিকাদার। দীর্ঘদিন এভাবে রাস্তা পড়ে থাকায় বড় খোয়া উঠে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তা ভেঙে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে কয়েক জায়গায়। খোয়া ভেঙে ধুলোয় পরিণত হওয়ায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে রাস্তার দুইধার। দুইবছর ধরে রাস্তাটির বেহালদশা হলেও সেদিকে নজর নেই সংশ্লিষ্টদের।

কাজ দেখভালের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী গাউসুল আজম বলেন, বারবার ঠিকাদারকে চিঠি দেওয়া হচ্ছে। কাজ ধরবে বলে ঠিকাদার প্রতিবার কথা দিচ্ছেন। কিন্তু কাজ করছেন না।

উপজেলা প্রকৌশলী সানাউল হক বলেন, আমি নতুন এসেছি। এই ব্যাপারে কিছু বলতে পারছি না। খোঁজ নিয়ে দেখছি।
অন্যদিকে কাজের ঠিকাদার জহুরুল ইসলাম জানান, আর্থিক সমস্যা ছিল। করোনার জন্য একবছর কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে। একমাসের মধ্যে কাজ শুরু করব।

জানা যায়, মণিরামপুর-কুলটিয়া ভায়া মাছনা সড়কটির দৈর্ঘ্য ১২ কি.মি.। পূর্বের পিচ নষ্ট হওয়ায় পুনঃনির্মাণের জন্য রাস্তাটি দুইভাগে বিভক্ত করে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে কার্যাদেশ জারি করে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী। ছয় কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে মণিরামপুর থেকে বাগডাঙা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ৭ কি.মি. রাস্তা পুনঃনির্মাণের কাজ পান যশোরের এক ঠিকাদার। সেখান থেকে মশিয়াহাটী পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটারের কাজ পান অন্য ঠিকাদার। কাজটি শুরু হয়ে চারমাস সময় নিয়ে সে বছরের ২৮ জুন শেষ করার কথা ছিল। বাগডাঙা স্কুল থেকে মশিয়াহাটী পর্যন্ত রাস্তার কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ হলেও বিপত্তি ঘটে মণিরামপুর থেকে বাগডাঙা স্কুল পর্যন্ত ৭ কি.মি. সড়কের কাজে। ঠিকাদার কাজ শেষ না করে ফেলে রেখেছেন দুই বছর। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন সড়কটিতে চলাচলকারী পথচারীরা।

এদিকে আটপাখিয়া গ্রামের থ্রি হুইলার চালক আব্বাস উদ্দিন বলেন, আমি এই রাস্তায় গাড়ি চালাই। বড় বড় খোয়া ওঠায় চলাচল করা যাচ্ছে না। গাড়ির টায়ার ও বডি নষ্ট হচ্ছে। প্রায়ই গাড়ি গ্যারেজে নিতে হচ্ছে। যা আয় হয় গাড়ির পেছনে খরচ করে বাড়ি নেওয়া যায় না। কারও নজর এদিকে নেই।

বেগমপুর গ্রামের আতিয়ার রহমান বলেন, রাস্তা কয়েক জায়গায় ভেঙে গেছে। ট্রাক চলাচল করলে ইটের ধুলোয় আশপাশের বাড়ি ভরে যাচ্ছে। রাস্তার পাশের বাড়ির মানুষ খুব কষ্টে আছেন। ইটের ধুলো থেকে বাঁচতে দিনে দুইবার রাস্তায় পানি দিতে হচ্ছে। তাতেও রক্ষা হচ্ছে না।

 

 
Electronic Paper