ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আগের সীমানায় ভোট হবে যশোর পৌরসভায়

যশোর প্রতিনিধি
🕐 ৫:০০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৩, ২০২১

আগের সীমানায় ভোট হবে যশোর পৌরসভায়

আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি যশোর পৌরসভায় আগের সীমানায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে খসড়া ভোটার তালিকা গত বুধবার প্রকাশ করা হয়েছে। এই তালিকা অনুযায়ী, ভোটার বেড়েছে ১৫ হাজার ৫৭৭ জন। নির্বাচন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যশোর পৌরসভার কোনো সীমানা বাড়ানো হয়নি। সীমানা বেড়েছে শহরের। সেই কারণে পূর্বের সীমানাই পৌরসভার সীমানা। আসন্ন নির্বাচনে কেশবপুর পৌরসভায় খসড়া তালিকায় ভোটার বেড়েছে দুই হাজার ৬৭৩ জন।

এবারই প্রথমবারের মতো যশোর এবং কেশবপুর পৌরসভায় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে খসড়া ভোটার তালিকা অনুযায়ী, যশোর পৌরসভায় ভোটার হয়েছেন এক লাখ ৪৬ হাজার ৫৯৮ জন।

এর মধ্যে পুরুষ ৭২ হাজার ৫৫ এবং নারী ভোটার রয়েছেন ৭৪ হাজার ৫৪৩ জন। সর্বশেষ, ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ভোটার ছিল এক লাখ ৩১ হাজার ২১জন। এরমধ্যে পুরুষ ৬৫ হাজার ৯জন এবং ৬৬ হাজার ১২জন নারী ভোটার ছিল।

একইভাবে কেশবপুর পৌরসভায় সর্বশেষ নির্বাচনে ভোটার ছিল ১৮ হাজার ৫২ জন। এরমধ্যে পুরুষ ছিল আট হাজার ৯২৯ জন। নয় হাজার ১২৩ জন ছিল নারী ভোটার। বর্তমানে কেশবপুর পৌরসভায় ভোটার সংখ্যা ২০ হাজার ৭২৫ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ১০ হাজার ১৮৫ জন। ১০ হাজার ৫৪০ জন রয়েছেন নারী ভোটার।

ভোটার তালিকার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যশোর জেলা নির্বাচন অফিসের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রতীক বরাদ্দের পর গেজেট প্রকাশিত হবে। তখন যাচাই বাছাই করা হবে খসড়া ভোটার তালিকার। যাচাই বাছাইয়ে সামান্য সংখ্যক ভোটার কমবেশি হতে পারে বলে জানান তিনি। ইভিএমে ভোট গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত হওয়ায় নির্দিষ্ট তারিখের অনেক আগেই এই মেশিন ভোট কেন্দ্রে আসবে। সেখানে মগ ভোটিং (ভোট দেওয়া শিখানো) হবে। ইভিএমে কীভাবে ভোটাররা ভোট দিবেন তা হাতে কলমে শেখানো হবে।

এদিকে, যশোর পৌরসভার ভোটারদের বিভ্রান্তি দূর করতে সীমানা নিয়ে জেলার সিনিয়র নির্বাচন অফিসার হুমায়ুন কবির বলেন, যশোর পৌরসভার সীমানা বাড়েনি কখনো। সীমানা বেড়েছে শহরের। শহর আর পৌরসভা এক না। এ কারণে ভোটগ্রহণ করা হবে আগের সীমানায়।

হুমায়ুন কবির বলেন, চাইলেই পৌরসভার সীমানা বাড়ানো যায় না। এটি একটি জটিল এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। পৌরসভার সীমানা বৃদ্ধি করতে কমপক্ষে আড়াই বছর নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে। সীমানা বাড়াতে হলে প্রতিটি বাড়িতে যেতে হবে। বিন্যাস করতে হবে ওয়ার্ডগুলোর। এটি করতে একাধিক ধাপে কাজ সম্পন্ন করতে হয়। নিয়োগ করতে হবে সীমানা নির্ধারণকারী কর্মকর্তা। যার কোনো কিছু যশোর পৌরসভায় এখনো শুরুই হয়নি বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন অফিসার।

 

 
Electronic Paper