মাড়ুয়া গ্রামে খাওয়ার পানির সংকট
অকেজো পানি পরিশোধক যন্ত্র
যশোর প্রতিনিধি
🕐 ৯:১০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২০, ২০২১
যশোরের চৌগাছায় মাড়ুয়া গ্রামে খাওয়ার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। আর্সেনিক থেকে রক্ষার জন্য নিরাপদ পানির পরিশোধক যন্ত্র বসানো হলেও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এখন সেগুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছেন, মাড়ুয়া গ্রামে আর্সেনিক রোগ নিয়ে সরকারি-বেসরকারিভাবে কাজ করা হচ্ছে।
এশিয়া আর্সেনিক নেটওয়ার্কের সংগঠক লুত্ফর রহমান জানান, তিনি নিজে আর্সেনিক রোগে আক্রান্ত।
তিনি আরও জানান, ১৯৯৬ সাল থেকে এই পর্যন্ত মাড়ুয়া গ্রামে ৩০ জনের বেশি মানুষের আর্সেনিকে মৃত্যু হয়েছে। এখানে সরকারি-বেসরকারিভাবে নিরাপদ পানির জন্য গ্রাবেল সেন্ড ফিল্টার (জিএসএফ), পন্ড সেন্ড ফিল্টার (এএসএফ), আর্সেনিক আয়রন রিমুভাল প্ল্যান্ট ও ডাগওয়েল নির্মাণ করা হয়। দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এগুলো অকেজো হয়ে পড়েছে। নিরাপদ পানির জন্য নির্মিত সাতটি টিউবওয়েলের মধ্যে দুটি সচল আছে।
গৃহবধূ রোকেয়া বেগম (৫২) জানান, আর্সেনিকের কারণে তার পরিবারে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ৩ হাজার ৬৫৬টি নলকূপ রয়েছে। আর্সেনিক শনাক্ত হওয়ার পর খাওয়ার পানি নিশ্চিত করতে ৪২৯টি রিংওয়েল, ১৭০টি ডাগওয়েল, ৩৫টি পিএসএফ ও ১৬৭টি এআইআরপি স্থাপন করা হয়েছিল। মাড়ুয়া, দক্ষিণ কয়ারপাড়া, জগদীশপুরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নির্মিত আর্সেনিকমুক্ত পানি সরবরাহের প্ল্যান্টগুলো রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুত্ফুন্নাহার লাকি জানান, আর্সেনিকে আক্রান্ত রোগীদের নিয়মিত খোঁজ রাখা হয়। সরকারিভাবে তাদের ওষুধ দেওয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রকৌশলী ইনামুল হক জানান, সম্প্রতি মাড়ুয়া গ্রামে আর্সেনিকে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে বলে জানতে পেরেছি। আক্রান্তদের তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে।
সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহিন জানান, আর্সেনিকের মাত্রা কমানোর জন্য পর্যাপ্ত খাওয়ার পানির জন্য টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনা গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই।