১৭ দিন বয়সী সন্তান হত্যার দায় স্বীকার করলেন মা
বাগেরহাট প্রতিনিধি
🕐 ১:০২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৯, ২০২০
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ১৭ দিন বয়সী নবজাতক হত্যার জট খুলেছে। মা শান্তা আক্তার পিংকিই হত্যা করেছেন তার নবজাতক সন্তানকে। হত্যার বর্ণনা ও দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন পিংকি।
গতকাল শনিবার বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় এ তথ্য জানিয়েছেন। পঙ্কজ চন্দ্র রায় বলেন, ধারণা ছিল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে পরিবারের কেউ জড়িত ছিল। আমরা শিশুটির বাবা সুজন খানকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ এবং রিমান্ড আবেদন করি। আদালত সুজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আমাদের মনে হয় নবজাতকের মা ও বাবাকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। দুজনকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে শিশুটির মা আমাদের কাছে হত্যার বর্ণনা দেন। নিজেই নিজের সন্তানকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেন।
পরে গত শুক্রবার বিকেলে বাগেরহাট জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. খোকন হোসেনের আদালতে পিংকি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে এ মামলার চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোরেলগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) ঠাকুর দাস বলেন, হত্যার শিকার শিশুটির বাবা সুজন ও মা শান্তা দুই জনেরই আগে বিয়ে হয়েছিল। শান্তা ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়ার বনগঞ্জ গ্রামের মো. ইউনুছ শেখের মেয়ে। ২০১৭ সালে একই এলাকার উজ্জ্বল ভুঁইয়া নামে এক ছেলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সেখানে শান্তার একটি মেয়ে রয়েছে। ২০১৯ সালের দিকে শান্তার সঙ্গে বর্তমান স্বামী মোরেলগঞ্জ উপজেলার গাবতলা গ্রামের সুজন খানের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সূত্র ধরে শান্তা তার নাম পরিচয় ও বিয়ের বিষয় গোপন করে সুজনের কাছে চলে আসেন। ২০ দিন ধরে সুজনের বোনজামাই এনামুলের ঢাকায় বাসায় থেকে বিয়ের পরে সুজনের বাড়িতে আসেন শান্তা। কিন্তু তার আগেরর বিয়ে ও সন্তানের কথা বর্তমান স্বামী ও তার পরিবারের কাছে গোপন রাখেন। সুজনের আগের স্ত্রী ও শান্তার আগের স্বামীসহ বিভিন্ন পারিবারিক ঝামেলার জন্য সে তার সন্তানকে হত্যা করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।