ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

শৈলকুপায় কামান্না দিবস পালন

টিপু সুলতান, শৈলকুপা (ঝিনাইদহ)
🕐 ৬:০১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৬, ২০২০

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কামান্না গ্রামে ২৭ মুক্তিযোদ্ধার ৪৯তম শাহাদাৎ দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের এ দিনে পাকবাহিনী ও রাজাকাররা ২৭ জন মুক্তিযোদ্ধাসহ ২৯ জনকে হত্যা করে। কামান্না গ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পের টিনের ঘর দুটি অবিকল সে অবস্থাতে সেদিনের স্মৃতি ধরে রেখেছে। স্থানীয় জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে দিবসটি পালন করা হয়।

পাকবাহিনীর সঙ্গে সেদিনের যুদ্ধে যারা অকাতরে দেশের জন্য জীবন দিয়েছিলেন তারা হলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মোমিন, আব্দুল কাদের, শহিদুল ইসলাম, সোলেমান হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক (১), আব্দুল ওয়াহেদ, রিয়াত আলী, আলমগীর হোসেন, মতলেব উদ্দীন, আলি হোসেন, শরিফুল ইসলাম, আনিছুর রহমান, আলিমুজ্জামান, তাজুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান, মাছিম উদ্দীন, আব্দুর রাজ্জাক (২), কাওছার আলী, সালেক মিয়া, আজিজুর রহমান, আকবর হোসেন, সেলিম হোসেন, হোসেন আলী, রাশেদ মিয়া, গোলজার হোসেন, শ্রী অধীর কুমার ও গৌর পদ।

একই সঙ্গে জীবন দিয়েছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গাইডার শ্রী ফণি ভুষণ কুন্ডু ও রান্নার বুয়া মোছা. রঙ্গবিবি। অবস্থানগত দিক দিয়ে সুবিধাজনক হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধাগণ কামান্না গ্রামের মাধব ভুঁইয়ার বাড়িতে অস্থায়ী ক্যাম্প গড়ে তোলেন। ২৫ নভেম্বর রাতে খাবার খেয়ে মুক্তিযোদ্ধাগণ ঘুমিয়ে পড়েন। ভোর রাতে বাড়িটি ঘিরে ফেলে পাকসেনা ও রাজাকাররা। তাদের গুলিতে একে একে শহীদ হন ২৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা।

দিবসটি পালন উপলক্ষে শৈলকুপা উপজেলা প্রশাসন ও ২৭ শহীদ স্মৃতি সংঘ শহীদদের মাজার প্রাঙ্গণে আলোাচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে। প্রথমে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মুক্তিযোদ্ধাগণ। ঝিনাইদহের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক সেলিম রেজার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সংসদ সদস্য আব্দুল হাই বক্তব্য রাখেন।

এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ফ ম আবুল ফাত্তাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান ও রহমত আলি মন্টু।

বক্তারা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। জাতি আজ শ্রদ্ধার সঙ্গে শহীদদের স্মরণ করে।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম হাকিম আহমেদ, শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিলুফা ইয়াসমিন, ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদুন্নবী কালু, ১০নং বগুড়া ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম প্রমুখ। পরে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

 

 
Electronic Paper